ধূপগুড়ি: প্রায় চার ঘণ্টা নিখোঁজ থাকার পরই বাড়িরই একটি ঘর থেকে গৃহবধূকে পা বাঁধা ও অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করলেন পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা। বস্তাবন্দি করে রাখা হয়েছিল ওই মহিলাকে। রবিবার রাতে ধূপগুড়ি ব্লকের বারোঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের গালেরডাঙ্গা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। কে বা কারা গৃহবধূকে পা বেঁধে বস্তাবন্দি করে রেখেছিল, কী-ই বা তাদের উদ্দেশ্য ছিল, তা নিয়ে রহস্য দানা বাঁধছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ওই মহিলাকে প্রায় চার ঘণ্টা ধরে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরিবারের লোকেরা অনেক চেষ্টা করেও তাঁর খোঁজ পাননি। এরপর পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা মিলে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। বাড়িরই জ্বালানি কাঠ রাখার ঘরেও চলে খোঁজ। সেই সময় বস্তা থেকে একটি শাড়ি দেখা যায়। সেখানে উঁকি দিতেই মহিলাকে বস্তাবন্দি অবস্থায় দেখতে পান প্রতিবেশীরা। স্থানীয়দের দাবি, সেই সময় মহিলার পা বাঁধা ছিল এবং তিনি অচেতন ছিলেন। তাঁকে দ্রুত উদ্ধার করে ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর মহিলাকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রেফার করেন চিকিৎসক।
খবর পেয়ে ধূপগুড়ি থানার পুলিশও হাসপাতালে যায়। প্রাথমিক পর্যায়ের তদন্ত সম্পন্ন করেছে পুলিশ। তবে এখনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রহস্য দানা বাঁধছে। মহিলার তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে ধূপগুড়ি থানা জানিয়েছে, ঘটনায় রহস্য রয়েছে। প্রাথমিক তদন্ত করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ দায়ের হলে খতিয়ে দেখা হবে।