বালুরঘাট: জীবিত উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে মৃত বানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার চালাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। এমনকি তার ছবি ব্যবহার করে অশ্লীল ভিডিও(Video Viral) তৈরি করে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। যার জেরে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে ওই ছাত্রী। অবশেষে সাইবার ক্রাইম(Cyber Crime) থানার দ্বারস্থ হলেন বালুরঘাট(Balughat) খাদিমপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ওই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। শুক্রবার বালুরঘাট সাইবার ক্রাইম থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ওই স্কুল ছাত্রী।
অভিযোগপত্রে সে জানিয়েছে, ফেসবুকে ‘একজন বহুরূপী’ নামের প্রোফাইল থেকে এক যুবক তার আপলোড করা সমস্ত রিলস ভিডিওগুলো বিকৃত করছে। তাকে বদনাম করার জন্য অশ্লীল ভিডিও তৈরি করা হচ্ছে। এডিট করে ভিডিওতে তাকে নগ্ন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সাইবার ক্রাইম দপ্তর থেকে বারবার অচেনা কারও বন্ধুত্বের আহ্বান গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকার কথা বলা হয়। কোনও অজানা মানুষের সঙ্গে আলাপচারিতায় না জড়ানোর কথা প্রচার করা হয় দপ্তরের তরফে। এমনকি ফেসবুকের তরফেও প্রোফাইলের ছবি, ভিডিও ও তথ্য যাতে বাইরের কারও হাতে না পৌঁছোয় তার জন্য প্রোফাইল লক করার বিকল্প দেওয়া হয়েছে। প্রচুর সচেতন নেটাগরিক নিজেদের প্রোফাইল সুরক্ষিত রাখতে ‘লক’ করে রাখেন। তবুও অসাবধানতায় প্রোফাইল উন্মুক্ত থেকে যাচ্ছে প্রচুর মানুষের। বর্তমানে স্কুল, কলেজ পড়ুয়া তথা নতুন প্রজন্মের ছেলে মেয়েদের কাছে সোশ্যাল মিডিয়ার হাতছানি উপেক্ষা করা একপ্রকার অসাধ্য সাধন। কিন্তু এই সোশ্যাল মাধ্যমে নিজের ছবি, রিলস দিয়ে বিপাকে পড়েছেন বালুরঘাটের কাঁঠালপাড়া এলাকার এক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। ইতিমধ্যেই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে। গত শুক্রবার প্রথম দিনের পরীক্ষা হয়েছে। তার মধ্যেই রাতের ঘুম উড়েছে ওই ছাত্রীর। কারণ একটি ভুয়ো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে তার প্রোফাইল থেকে ছবি নিয়ে তা এডিট করে অশ্লীল ভিডিও তৈরি করা হচ্ছে বলেই অভিযোগ। কোনও উপায় না পেয়ে বালুরঘাটের জেলা সাইবার ক্রাইম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ওই পরীক্ষার্থী।
পরীক্ষার্থীর আরও অভিযোগ করে বলে, ‘তার ফোন নম্বর ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে একাধিকবার অশ্লীল ফোন আসছে। মানসিকভাবে এখনও আমি বিপর্যস্ত। আমি চাই প্রশাসন আইনি ব্যবস্থা নিক। অভিযুক্তকে শাস্তি না দিলে প্রচুর মেয়ের সঙ্গে এমন দুষ্কর্ম করবে।’