বিশ্বজিৎ সরকার, রায়গঞ্জ: বৌভাতের আসর থেকে গ্রেপ্তার বর! শনিবার রাতে ইটাহার থানার বাঙ্গার চেকপোস্ট এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। ধৃতের নাম আলকৌসার ওরফে কৌসার আলি (২৬), সে পেশায় হোটেল ব্যবসায়ী। ধৃতের বিরুদ্ধে একাধিক জামিনযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। এদিন ধৃতকে রায়গঞ্জ মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে তোলা হয়। বিচারক ধৃতের ১৪ দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। বাকি অভিযুক্তরা পলাতক।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চার বছর আগে রায়গঞ্জ থানার জগদীশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা ফরিদা বিবির সঙ্গে ইটাহারের বাঙ্গার বসরুপুর এলাকার আলবাশারের বিয়ে হয়। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পণের টাকার দাবিতে ফরিদার ওপর শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন কর হত। পণের টাকা না পেয়ে প্রায় দুই মাস আগে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা ফরিদাকে মারধর করে। এমনকি তলপেটে লাথিও মারা হয়। এর জেরে তিনি গুরুতর জখম হন। প্রতিবেশীরা তাঁকে উদ্ধার করে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করেন। কিন্তু গর্ভস্থ ভ্রুণের মৃত্যু হয়।
এরপর রায়গঞ্জ থানায় স্বামী সহ ছয়জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই বধূ। অভিযুক্তদের একজন আলবাশারের ভাই আলকৌসার। কয়েকদিন আগেই আলকৌসারের বিয়ে হয়েছে। শনিবার ছিল ফুলশয্যা। গতকাল রাতে বৌভাতের আসর থেকে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে রায়গঞ্জ থানা। তাকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগও উঠেছে।
নববধূ ঝুনি বেগম বলেন, ‘গতকাল বৌভাতের আসর থেকে আমার স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অনুরোধ করলেও কোনও কথা শোনেনি।’ রায়গঞ্জ আদালতের সরকারি আইনজীবী দীপ্তেশ ঘোষ বলেন, ‘বধূ নির্যাতনের অভিযোগে দেওরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিচারক ১৪ দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। শুনেছি, ধৃতকে বেধড়ক মারধর করেছে পুলিশ। কেন মারধর করা হল, সেটিও দেখার প্রয়োজন।’ যদিও এবিষয়ে জেলার পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও, তাঁরা মন্তব্য করতে নারাজ।