নাগরাকাটা: হাতির হামলায় ফের মৃত্যু হল নাগরাকাটায়। এবারের ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার সকালে বামনডাঙ্গা চা বাগানে। বন দপ্তর সূত্রের খবর মৃতের নাম প্রকাশ ওরাওঁ। বয়স আনুমানিক ৩০। এই নিয়ে গত সাড়ে ৩ মাসে নাগরাকাটা ব্লকের হাতির হামলায় ৫ জনের মৃত্যু হল। জখমের সংখ্যা একাধিক। বন দপ্তরের বন্যপ্রাণ শাখার খুনিয়া রেঞ্জের রেঞ্জার সজল দে বলেন, ‘মৃত্যুর ঘটনাটি দুর্ভাগ্যজনক। হাতির গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে বনকর্মীরা সতর্ক দৃষ্টি রেখে চলেছেন।’
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে মৃতের বাড়ি বামনডাঙ্গার জয়বাংলা লাইনে। এদিন সকালে ওই যুবক ঘুম থেকে উঠে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। অতর্কিতে আগে থেকেই সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা একটি দাঁতাল তাঁর ওপর হামলা চালায়। জখম অবস্থায় প্রকাশকে স্থানীয় বাসিন্দা ও বাড়ির লোক তাঁকে উদ্ধার করে সুলকাপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসে। খবর পেয়ে চলে আসেন বনকর্মীরা। এরপর সেখান থেকে মালবাজার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। প্রকাশের অকাল মৃত্যুতে বাগানটিতে শোকের ছায়া নেমে আসে। বামনডাঙ্গার কৈলাস গোপ নামে এক শ্রমিক নেতা বলেন, ‘একদিকে ম্যালেরিয়ার বাড়বাড়ন্ত। অন্যদিকে হাতির হামলা। সব মিলিয়ে গোটা বাগানে এখন আতঙ্কের পরিবেশ।’ উল্লেখ্য বামনডাঙ্গা চা বাগানের মডেল ভিলেজে সম্প্রতি ম্যালেরিয়া ছড়ায়। স্বাস্থ্য দপ্তর অবশ্য রোগটিকে নিয়ন্ত্রণ জোরকদমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
এর আগে নাগরাকাটায় গত ১৫ নভেম্বর রাতে সুলকাপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ডাঙ্গাপাড়ায় একটি বেসরকারী রিসর্টের ভেতর দলছুট হাতির হামলায়া মারা যান এক রঙ মিস্ত্রী। ১২ নভেম্বর তেড়ে আসা একটি হাতির গুঁতোয় মৃত্যু হয় খেরকাটা গ্রামের সন্দেশ ওরাওঁ নামে এক যুবকের। ১৭ অক্টোবর মৃত্যু হয় আংরাভাসা এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের আপার কলাবাড়ি বস্তীর কুলবাহাদুর থাপা নামে এক ব্যক্তির। ১ অক্টোবর মারা যান ওই গ্রামেরই সীতারাম ছেত্রী নামে আরো এক ব্যক্তি।