নকশালবাড়ি: চা বাগানে বন্ধুর বাড়িতে বিয়ে খেতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের হামলার মুখে পড়লেন এক যুবক। অভিযোগ, পেছন দিক থেকে যুবকের মাথায় লোহার রড ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। লোহার রড সহ যুবককে আশঙ্কজনক অবস্থায় বাগডোগরার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন তিনি। ঘটনায় বুধবার নকশালবাড়ি থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা।
অভিযোগ, মঙ্গলবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নকশালবাড়ি থানার অন্তর্গত নকশালবাড়ি চা বাগানের মেইন গেটের সামনে। জখম যুবকের নাম জয় বর্মন। নকশালবাড়ি শান্তিনগরের বাসিন্দা তিনি। শান্তিনগর ফ্লাইওভারের নীচেই চাউমিনের দোকান রয়েছে জয় বর্মনের। মঙ্গলবার রাতে জয় বর্মন বন্ধু কার্তিক লাল নাগাসিয়ার বাড়িতে বিয়ে খেতে যান। বিয়েতে কিছু অজ্ঞাত পরিচয় যুবকদের সঙ্গে তাঁর ঝামেলা বাধে। সেই সময়কার মতো ঝগড়া মিটমাট হয়ে গেলেও পরে বিয়ে শেষে বাড়ির ফেরার পথে চা বাগানে তাঁকে একদল দুষ্কৃতী আটক করে মারধর শুরু করে। অভিযোগ, মাথায় লোহার রড ঢুকিয়ে দিয়ে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। স্থানীয় এক মহিলা রক্তাক্ত অবস্থায় জয় বর্মনকে রাস্তার ধারে পড়ে থাকতে দেখেন। গ্রামবাসীদের মধ্যে জানাজানি হতেই তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত নকশালবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি ঘটলে পরিবারের লোকজন বাগডোগরার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করে। ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই প্রায় শতাধিক গ্রামবাসী নকশালবাড়ি থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান। পুলিশ দ্রুত নকশালবাড়ি চা বাগান থেকে এক যুবককে আটক করে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। পরে আরও পাঁচজনকে আটক করা হয়। তদন্র শুরু করেছে পুলিশ।
শান্তিনগরের পঞ্চায়েত সদস্য সাধন চক্রবর্তী বলেন, ‘যখন ঘটনাটি ঘটেছে তখন ওই এলাকায় কেউ ছিল না। কেউ কিছু বলতে পারছে না এভাবে বাইরের লোক এসে কেন মেরে দিয়ে গেল।‘