উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ সরকারি অনুমোদন আপাতত ‘বাতিল’ করা হল রাজ্যের ২৫৩টি বেসরকারি বিএড কলেজের। এই কলেজগুলির অনুমোদন পুনর্নবীকরণ করা হবে না বলে জানিয়ে দিল রাজ্যের বিএড বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষকতার পাঠ দেওয়া বিএড কলেজগুলির অনুমোদন বাতিল হওয়ায় ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে গেল বহু পড়ুয়ার।
অভিযোগ, অনুমোদন বাতিল হওয়া বিএড কলেজগুলি পালন করেনি ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ টিচার এডুকেশন বা এনসিটিইর নির্দেশিকা। এ ব্যপারে রাজ্যের বিআর আম্বেদকর বিএড বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে বারবার অবগত করা হলেও তা মানেননি বেসরকারি বিএড কলেজগুলির একাংশ। সে জন্যই আইন না মানা কলেজগুলির অনুমোদন বাতিল হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ফলে এই মুহূর্তে অনিশ্চয়তার মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে শিক্ষক হতে চাওয়া হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রীর ভবিষ্যৎ।
এই মুহূর্তে রাজ্যে সরকারি বিএড কলেজের সংখ্যা ২৪। তার তুলনায় বেসরকারি কলেজের সংখ্যা অনেক বেশি। প্রায় ৬০০টি বেসরকারি কলেজে শিক্ষকতার প্রশিক্ষণ নেন লক্ষাধিক ছাত্র-ছাত্রী। শুক্রবারের সিদ্ধান্তে এঁদের মধ্যে অনেকেরই ভবিষ্যৎ আপাতত অনিশ্চিত।
রাজ্যের এই বেসরকারি কলেজগুলির অনুমোদন দেয় বিআর আম্বেদকর বিএড বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু বিএড কলেজগুলি পরিচালিত হয় ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ টিচার এডুকেশন বা এনসিটিইর গাইডলাইনে। সেই গাইডলাইন বলছে এই কলেজগুলিতে ছাত্র এবং শিক্ষকের সংখ্যার একটি নির্দিষ্ট অনুপাত বজায় রাখতে হবে। বিএড বিশ্ববিদ্যালয় এ বছর শুরুতে সেই নিয়মের কথা স্মরণ করিয়েও দিয়েছিল কলেজগুলিকে। কিন্তু এই নিয়মের তোয়াক্কা করেনি বহু বেসরকারি বিএড কলেজ। ফলে সরকারি অনুমোদন পুনর্নবীকরণের জন্য আবেদন করা হলেও অনুমোদন পায়নি বিএড কলেজগুলি।
জানা গিয়েছে, ৪ অক্টোবর ছিল পুনর্নবীকরণের আবেদন পত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। জমা পড়া আবেদন যাচাই করে দেখা যায়, বেসরকারি কলেজগুলির মধ্যে প্রায় সাড়ে তিনশোটি কলেজ নিয়ম মানলেও বাকি ২৫৩টি কলেজ তা মানেনি। এর পরেই এই বাকি ২৫৩টি কলেজের অনুমোদন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিএড বিশ্ববিদ্যালয়।
তবে আপাতত এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলি অনুমোদন না পেলেও এনসিটিই নিয়ম মেনে ছাত্র-শিক্ষকের অনুপাত যথাযথ ভাবে বজায় রেখে আবার আবেদন করলে তারা অনুমোদন পেতে পারে। তবে এই অনুমোদন যদি যথাসময়ে পাওয়া না যায়, তবে যে ছাত্রছাত্রীরা শেষ বছরের সেমেস্টার দিয়ে বেরোবেন তারা সরকার অনুমোদিত কলেজের শংসাপত্র পাবেন কি না অনিশ্চয়তা দেখা গিয়েছে তা নিয়েও।