হেমতাবাদ: চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে এক যুবককে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিল ক্ষিপ্ত বাসিন্দারা। বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে হেমতাবাদ থানার বাঙালবাড়ি গ্রামে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম ওয়াজেদ আলি(১৯)। বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর থানার টাকাইপুর সংলগ্ন কেশবপুর এলাকায়। কলকাতার একটি মেডিকেল কলেজের ফার্মাসিস্টের প্রথম বর্ষের ছাত্র। ধৃতের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ধৃতকে এদিন বিকেলে রায়গঞ্জ মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হলে বিচারক দু’দিনের পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হেমতাবাদ থানার বাঙালবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাতসিয়া গ্রামে ৩২ জন মহিলার কাছ থেকে এক লক্ষ টাকা করে মোট ৩২ লক্ষ টাকা চাকরি দেওয়ার নাম করে নিয়েছেন। প্রায় আট মাস হয়ে গেলেও চাকরি না মেলায় তাদের সন্দেহ হয়। হেমতাবাদ থানার অন্যান্য গ্রামের মহিলারা তাকে ফোন মারফত বলে আরও ২১ জন মহিলা চাকরির জন্য টাকা দেবে যত দ্রুত সম্ভব টাকা নিয়ে যাও। গতকাল ফোন করলে এদিন সকালে বাঙালবাড়ি এলাকার বালুপাড়া গ্রামে হাজির হয় ওই যুবক। এরপর ওই যুবককে তুলে নিয়ে গিয়ে ভাতশিয়া গ্রামে বেধড়ক মারধর দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এই ঘটনায় হেমতাবাদ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভাতশিয়া গ্রামের বাসিন্দা কাউসার আলি। অভিযোগের ভিত্তিতে যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত যুবকের সঙ্গে আরও চারজন যুক্ত রয়েছে। শুধু চাকরি দেওয়াই নয় ভুয়ো কোম্পানি খুলে মহিলাদের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থা খুলে প্রতারণার চক্র খুলে বসে। পাশাপাশি ধৃত যুবক সুদের কারবারীর সঙ্গেও যুক্ত রয়েছে বলে পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে অনুমান। তবে কোন কোন দপ্তরে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ তদন্তকারী অফিসার। পুলিশ সুপার মহম্মদ সানা আক্তার বলেন, আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।