কোচবিহার: কোচবিহারে এসে শহরের সাতটি ঐতিহ্যবাহী দিঘি সংস্কারের শিলান্যাস করে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অবশেষে দিঘিগুলো সংস্কারে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা অনুমোদন করল রাজ্য সরকার। সেই তালিকায় রয়েছে রাজমাতাদিঘি, যমুনাদিঘি (লম্বা), নরসিংহদিঘি, পুলিশ লাইনের দিঘি এবং ফিশারির তিনটি দিঘি। মিউনিসিপ্যালিটি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট (এমইডি) সংস্কারের যাবতীয় কাজকর্ম করবে। খুব তাড়াতাড়ি টেন্ডার ডেকে ওই সমস্ত দিঘি সংস্কার শুরু হবে। খবর জানাজানি হতেই কোচবিহারে খুশির হাওয়া ছড়িয়েছে। এমইডি’র এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সুমন সরকার বলেন, ‘শহরের সাতটি দিঘি সংস্কারে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। দ্রুত সংস্কার ও সৌন্দর্যায়নের কাজ শুরু হবে।’
কোচবিহারে রাজ আমলে শহরের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার্থে একাধিক দিঘি তৈরি করা হয়েছিল। সেই সংখ্যা ৩০টিরও বেশি। প্রায় সবগুলোই রয়েছে হেরিটেজের তালিকায়। অথচ সাগর এবং বৈরাগীদিঘি দুটি নিয়মিত সংস্কার করা হলেও বাকিগুলো বেহাল অবস্থায় পড়ে থাকে দিনের পর দিন। জঙ্গল ও আবর্জনায় ভরে থাকে বলে অভিযোগ শহরবাসীর। এর জন্য দিঘি চত্বরে মশা-মাছি থেকে শুরু করে বিভিন্ন কীটপতঙ্গের বাসা বেঁধেছে। এতে দূষিত হচ্ছে এলাকা। এই অবস্থায় কোচবিহার শহরের সাত দিঘি সংস্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
এমইডি’র এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার জানান, দিঘিগুলো সংস্কারের পাশাপাশি গ্রিল দেওয়া হবে চারপাশে। থাকবে বসার জায়গা। এসবের পাশাপাশি ফুলের গাছ লাগানো সহ নানা সৌন্দর্যায়নের পরিকল্পনা রয়েছে। এ প্রসঙ্গে কোচবিহার হেরিটেজ কমিটির প্যাট্রন তথা কোচবিহারের পুর চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ মনে করেন, দিঘিগুলোর সংস্কার ও সৌন্দর্যায়ন করা হলে কোচবিহার শহরের চেহারা অনেকটা পালটে যাবে।