চ্যাংরাবান্ধাঃ মেখলিগঞ্জ ব্লকের চ্যাংরাবান্ধায় মৈনাক চা বাগানের জমি দখলকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়েছিল চ্যাংরাবান্ধা দেবীকলোনি এলাকা। অভিযোগ চা বাগানের জমি দখল করছে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যাক্তি। আর এই জমি দখলে বাধা দেওয়া বাগান শ্রমিকদের সঙ্গে গন্ডগোল বাধে দখলদারদের। শুক্রবার এই সমস্যা মেটাতে দুপক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নেয় মেখলিগঞ্জ ব্লক প্রশাসন। কিন্তু এই বৈঠকে জমি দখলে অভিযুক্তরা হাজির না হওয়ায় বৈঠক ভেস্তে যায়।
চ্যাংরাবান্ধা বিডিও এর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এদিনের বৈঠকে মেখলিগঞ্জের বিডিও অরুণ কুমার সামন্ত, বিএলআরও সুজন রায়, মেখলিগঞ্জ থানার ওসি রাহুল তালুকদার, মৈনাক চা বাগানের ম্যানেজার জ্ঞান প্রকাশ দিক্ষিত প্রমুখ উপস্থিত থাকলেও যার বিরূদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ সেই কামিনীকান্ত রায়ের তরফে কেউ হাজির না থাকায় ভেস্তে যায় বৈঠকটি। অভিযোগ চ্যাংরাবান্ধা দেবীকলোনি এলাকায় থাকা মৈনাক চা বাগানের বে আইনিভাবে জমি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দা তথা বাগানের এক কর্মী কামিনীকান্ত রায়। তার সঙ্গে আরও কিছু মানুষের হাত রয়েছে। বাগানের জমি দখলের চেষ্টা হলে শ্রমিকদের কাজ হারানোর আশংকা রয়েছে। তাই এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে জমি দখলের চেষ্টা রুখতে বৃহস্পতিবার দেবীকলোনি এলাকাতেই বিক্ষোভে শামিল হন বাগানেরই একদল শ্রমিক।
তারা বলেন, জমি দখলের ঘটনার কথা বিভিন্ন মহলে বারংবার জানানোর পরেও কোনও পদক্ষেপ নেয়নি প্রশাসন। ওইদিন ওই জমিতে বাগানের শ্রমিকরা কাজ করতে গেলে বাইরের কিছু লোকজন এসে তাদের কাজ করতে বাধা দেয়। এতেই ব্যপক গন্ডগোল বেধে যায়। এমনকি দু পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয় বলেও অভিযোগ। এরপরেই এনিয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপের দাবি উঠেছিল। এ প্রসঙ্গে মেখলিগঞ্জের বিএলআরও সুজন রায় জানান, এদিনের বৈঠকে একপক্ষ না আসায় এনিয়ে পুনরায় বৈঠকে বসা হবে। উভয়পক্ষের নিকট জমির কি কি নথিপত্র রয়েছে সেগুলি দেখার পর বিষয়টি স্পষ্ট হবে।”