গাজোল: পুলিশ প্রশাসনের তরফে নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলেও জেলায় বাড়ছে পথ দুর্ঘটনার সংখ্যা। আবার দুর্ঘটনার নিরিখে গাজোল ব্লক রয়েছে সবার উপরে। এর অন্যতম কারণ গাজোল ব্লকে রয়েছে তিনটি জাতীয় সড়ক। এছাড়াও রয়েছে বেশ কয়েকটি পূর্ত সড়ক। তবুও দুর্ঘটনার হার কমিয়ে আনতে সচেষ্ট রয়েছে জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসন। জেলা ট্রাফিক পুলিশের উদ্যোগে চলছে নিয়মিতভাবে সচেতনতা শিবির। গাজোল থানার পুলিশের তরফেও নেওয়া হয়েছে একাধিক কর্মসূচি। গাজোল শহর এলাকার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কদুবাড়ি মোড় এলাকায় এদিন বিশেষ অভিযান চালাল জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসন। প্রশাসনকে সহযোগিতা করার জন্য উপস্থিত ছিলেন মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের প্রতিনিধি এবং জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষও।
মালদা সদর মহকুমা শাসক পঙ্কজ তামাং, গাজোল থানার আইসি চন্দ্রশেখর ঘোষাল, ফরাক্কা রায়গঞ্জ হাইওয়ে অথরিটি রোড সেফটি অফিসার অভিষেক আচার্য সহ অন্যান্যদের নেতৃত্বে চলে এই বিশেষ অভিযান। জাতীয় সড়ক ধরে চলাচলকারী গাড়ির চালকেরা যাতে পরিষ্কার রাস্তা দেখতে পান তার জন্য জবরদখল করে থাকা ব্যবসায়ীদের সাত দিনের মধ্যে দোকান সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সদর মহকুমা শাসক পঙ্কজ তামাং বলেন, দুর্ঘটনার হার কমানোর জন্য জেলাশাসকের নেতৃত্বে মাঝেমধ্যেই সভা অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের তরফেও আমাদের কাছে বেশ কিছু বিষয় সম্পর্কে অবগত করানো হয়। এই অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করি। গাজোল কদুবাড়ি মোড় একটি স্পর্শকাতর এলাকা। কিন্তু এখানে দেখা যাচ্ছে বেশ কিছু অস্থায়ী দোকান এমনভাবে বসানো হয়েছে যাতে রাস্তা ঠিক মতো দেখা যাচ্ছে না। চালকদের খুব অসুবিধে হচ্ছে। যার জন্য দুর্ঘটনাও ঘটছে। আমরা এই সমস্ত দোকান মালিকদের বলেছি রাস্তার ধার থেকে দোকান সরিয়ে ২০ ফুট পিছিয়ে যেতে। দোকান সরিয়ে নেওয়ার জন্য সাত দিন সময় দেওয়া হল। এই সাত দিনের মধ্যে যদি দোকান সরানো না হয়, তাহলে প্রশাসনের তরফে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।