উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ গত বছর সেপ্টেম্বরে ধূপগুড়িতে উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে অভিষেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তৃণমূল (Trinamool congress) জিতলে ধূপগুড়িকে মহকুমা করা হবে। এরপর নভেম্বরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) গিয়েও অভিষেকের (Abhishek Banerjee) প্রতিশ্রুতির প্রসঙ্গ তুলে বলেছিলেন, কথা রাখবে সরকার। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই মহকুমার তকমা পাবে ধূপগুড়ি। প্রতিশ্রুতিমতোই মহকুমা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে ধূপগুড়ি (Dhupguri)। ধূপগুড়ি নতুন মহকুমা হলেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি রাজ্যকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, মহকুমা করলেই হবে না। ১ মাসের মধ্যে মহকুমা শাসকের অফিস, আদালত চালু করে দেখাতে হবে।
ধূপগুড়ি খাতায় – কলমে মহকুমা হওয়ার পর তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ধূপগুড়িতে মহকুমার স্বীকৃতি দেওয়ার নামে আসলে স্থানীয়দের চোখে ধুলো দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন শুভেন্দুবাবু। এদিন মেখলিগঞ্জের সভায় শুভেন্দু বলেন, ‘আমাদের আন্দোলনের ভয়ে ধূপগুড়ি মহকুমা হয়েছে। ৩১ তারিখ পর্যন্ত তো হয়নি। প্রধান বিচারপতির হাত-পা ধরে আজকে বলে দিচ্ছে ধূপগুড়ি মহকুমা হয়ে গেছে। মহকুমা করার আগে জমি নিতে হয়, বিল্ডিং বানাতে হয়। আমি চোর তৃণমূলকে বলছি, ক্ষমতা যদি থাকে ১ মাসের মধ্যে মহকুমা শাসকের (SDO) অফিস চালু করো। চালু করো মহকুমা কোর্ট, চালু করো মোটর ভেহিকল অফিস। মহকুমা শহরের অন্যান্য উন্নয়ন করে দেখাও। হাসপাতালকে মহকুমা হাসপাতালে উন্নীত করো। কিন্তু কিছু করতে পারবে না’।
ধূপগুড়ি মহকুমা প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘উনি তো প্রথমে ডেডলাইন মিস করেছেন। উনি তো বলেছিলেন ওমুক দিনের মধ্যে হয়ে যাবে। কই হল না তো। তার পর ভুলেই গেছিলেন। আমরা মনে করিয়ে দিলাম বলে হল। ভারতীয় জনতা পার্টি ওখানে আন্দোলন করছে। ওখানে বহু মানুষ নাগরিক মঞ্চের নামে বিধায়কের বাড়ির সামনে ধরনা দিচ্ছে। তাই করতে বাধ্য হয়েছে। নইলে হত না কি’?