ইম্ফল: ‘মেইতিস’ ও ‘কুকি’ জনজাতি গোষ্ঠীর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় উত্তপ্ত মণিপুর। চারদিন পেরিয়ে গেলেও এখনও তেতে রয়েছে এলাকা। চূড়াচাঁদপুরে চলেছে গুলি। এতে চারজনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। এছাড়াও রাজধানী ইম্ফলে একজন ট্যাক্স অ্য়াসিট্যান্টকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। মৃত ওই সরকারি আধিকারিকের নাম লেটমিনথাং হাওকিপ। তাঁর মৃত্যুর ঘটনার কড়া নিন্দা করেছে সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন। এখনও পর্যন্ত মোট ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, মণিপুরে অশান্তি শুরু হওয়ার পর থেকেই মেইতিস জনজাতির বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু করে বাহিনী। শুক্রবার এই প্রক্রিয়া চলার সময় চূড়াচাঁদপুরে গুলি চলে বলে জানা গিয়েছে।
গত বুধবার থেকে ‘মেইতিস’ ও ‘কুকি’ জনজাতি গোষ্ঠীর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মণিপুর। রাজধানী ইম্ফলে কুকিদের বসতি কম। সেখানে তাদের মেইতিসদের হামলার মুখে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ। উলটো ঘটনা ঘটছে পাহাড়ি এলাকাগুলিতে। সূত্রের খবর, শুক্রবার মেইতিসদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময়ই প্রবল বাধার মুখে পড়ে বাহিনী। সেই সময় অসম রাইফেলসের জওয়ানরা গুলি চালায় বলে জানা গিয়েছে।
এলাকাবাসীদের একাংশের দাবি, ওই সময় পরিস্থিতি সামলাতে গুলি চালায় বাহিনী। বিক্ষোভকারীরা মহিলাদের সামনের দিকে রেখেছিলেন। তা সত্ত্বেও বাহিনীর বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে, এই ঘটনায় বিবৃতি দিয়েছে অসম রাইফেলস। সেখানে বলা হয়েছে, স্থানান্তকরণ প্রক্রিয়াকে বাধা দিতে ২০০-র বেশি বিক্ষোভকারী জমায়েত হয়েছিল। তাঁদের কোনওভাবেই সরানো যায়নি। ফলে বাধ্য হয়ে গুলি চালাতে হয়।