আসানসোলঃ পারিবারিক অশান্তির জেরে বৌদিকে সবজি কাটার ছুরি দিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল দেওরের বিরুদ্ধে। শনিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোল দক্ষিণ থানার দিলদার নগরের শিব মন্দির সংলগ্ন এলাকায়। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মৃতার নাম মনি দেবী মণ্ডল (৩০)। খুন করার পরে দেওর ওমপ্রকাশ রাম ওরফে ভোলু আসানসোল দক্ষিণ থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। তাঁকে গ্রেপ্তার করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, অভিযুক্ত ঐ যুবকের ডানহাতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এদিন সন্ধ্যা ছটা নাগাদ পুলিশ তাকে আসানসোল জেলা হাসপাতালের এমারজেন্সি বিভাগে নিয়ে আসে। পরে তাকে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেই সময় সে সংবাদ মাধ্যমকে জানায়, বৌদি তার উপর ছুরি নিয়ে আক্রমণ করেছিল। তখন সে বাধা দিতে যায়। সেই সময় ধস্তাধস্তিতে মনি দেবী ছুরিকাহত হয়। যদিও জেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, মনি দেবীর শরীরে প্রায় সব জায়গায় একাধিক ক্ষত রয়েছে। বিশেষ করে তার মুখের আঘাত সবচেয়ে বেশি।
আসানসোল দক্ষিণ থানার দিলদার নগরের শিব মন্দির সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা মনি দেবী মণ্ডলের পড়শিদের অভিযোগ, এদিন বিকেলে বাড়ির মধ্যেই ঐ গৃহবধূর উপর তার দেওর ওমপ্রকাশ রাম ওরফে ভোলু ধারালো অস্ত্র নিয়ে চড়াও হয়। সেই সময় মনি দেবীর সঙ্গে ২ বছরের ছোট ছেলে ছিল। তাঁর শাশুড়িও বাড়ির বাইরে ছিলেন। তারা চিৎকার শুনে বাড়ির মধ্যে ঢুকে দেখেন গৃহবধূ ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় বিছানায় পড়ে রয়েছে। তার শরীরে একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। এরপরে রক্তাক্ত অবস্থায় ঐ গৃহবধূকে উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ। পরে থানায় আত্মসমর্পণ করা অভিযুক্ত দেওরকে আটক করে পুলিশ। কি কারণে এই খুন তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।