নাগরাকাটাঃ করমণ্ডল দুর্ঘটনায় ক্রমশ বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। ঘটনার পর থেকে একের পর এক আসছে মৃত্যুর খবর। করমণ্ডল এক্সপ্রেসে চেন্নাই যাওয়ার পথে মালদার এক পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যুর খবর মিলেছে আজ ভোরে। এবার মৃত্যুর খবর মিলল ডুয়ার্সের চা বলয়ের আরও এক পরিযায়ী শ্রমিকের। মৃত শ্রমিকের নাম সাগর খাড়িয়া, বয়স ৩০। সে নাগরাকাটা ব্লকের নাগরাকাটা চা বাগানের ফুটবল লাইনের বাসিন্দা। এই ঘটনায় চাবাগানে শোকের ছায়া নেমেছে।
মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত তিন মাস আগে নাগরাকাটা চা বাগানের ১৩ জন যুবক বেঙ্গালুরু গিয়েছিলেন একটি হোটেলে কাজ করতে। গতকাল তাঁরা বেঙ্গালুরু-হাওড়া ডাউন হামসফর এক্সপ্রেসে বেঙ্গালুরু থেকে হাওড়ায় ফিরছিলেন। শনিবারই তাদের বাড়ি ফেরার কথা ছিল এক মাসের ছুটিতে। এই ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান সাগর খাড়িয়া। কম বেশি আহত বাকি ১২ জন যুবক। প্রত্যেকেই একই এলাকার বাসিন্দা। আজ সকালে আহত যুবকের মাধ্যমে সাগরের মৃত্যুর খবর আসে চা বাগানে। যখন খবর আসে সেই সময় সাগরের মা গিয়েছিলেন চা বাগানে পাতা তুলতে। সহকর্মীরাই এই দুঃখের সংবাদ জানায় সাগরের মাকে।
এদিকে, ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই নাগরাকাটা চা বাগানের ফুটবল লাইনে শোকের ছায়া নেমে পড়েছে। কিভাবে বালেশ্বর থেকে সাগরের দেহ ফেরাতে প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন পরিবারের লোকেরা। নাগরাকাটার হতাহতদের ফেরাতে ওডিশা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন।