উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ বিশ্বভারতীর মুকুটে নয়া পালক। সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের নিরিখে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতে চলেছে বিশ্বভারতী। গর্বের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিশ্বভারতীর নাম উঠেছে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টারের তালিকায়। টুইট করে এখবর জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিষান রেড্ডি। মন্ত্রী তিনি জানিয়েছেন, রবীন্দ্রজয়ন্তীতে ভারতের জন্য সুখবর। পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতন ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের তকমা পেতে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যেভাবে আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরেন এটা তারই নমুনা। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সৌদি আরবের রিয়াধে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির মিটিং-এ আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে।
খুশির হাওয়া শান্তিনিকেতনে। বিশ্বকবি রবি ঠাকুরের স্বপ্নের শান্তিনিকেতন এবার হেরিটেজ তকমা পেতে চলেছে। সম্ভবত বিশ্বে প্রথমবার কোনও চালু বিশ্ববিদ্যালয়কে দেওয়া হচ্ছে হেরিটেজ তকমা। বিশ্ববিদ্যালয়টি হেরিটেজ তকমা পেলে গোটা বিশ্বের কাছে আরও পরিচিতি লাভ করবে শান্তিনিকেতন। যদিও বিশ্বের দরবারে রবি ঠাকুরের নামের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা শান্তিনিকেতন অত্যন্ত পরিচিত। রবীন্দ্রপ্রেমীদের কাছে এই শান্তিনিকেতন নিঃসন্দেহে অত্যন্ত প্রিয় জায়গা। তবে এবার এটি হেরিটেজ তকমা পেলে শান্তিনিকেতনের রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়টিও অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। উইকিপিডিয়া অনুসারে জানা গিয়েছে, ১৯২১ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তৈরি করেছিলেন বিশ্বভারতী। ১৯৫১ সালে একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে ঘোষিত হয়।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শান্তিনিকেতনেও বদলেছে অনেক কিছুই। তবুও এখনও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সেই আদর্শ, সেই ভাবধারা মেনে চলা হয় শান্তিনিকতেন। পৌষ মেলা, বসন্ত উৎসবে মুখরিত হয় শান্তিনিকেতন প্রাঙ্গন। আক্ষরিক অর্থেই গোটা বিশ্বের মিলনক্ষেত্র হয়ে ওঠে এই শান্তিনিকেতন। এবার শান্তিনিকেতনকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের স্বীকৃতি বাংলা তথা গোটা দেশের কাছে এটা হবে অত্যন্ত গর্বের। এমনটাই মনে করছেন রবীন্দ্র অনুরাগীরা।