উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ হাজার দিন অনেক আগেই পেড়িয়ে গিয়েছে চাকরি প্রার্থীদের ধর্নার। শহরের বিভিন্ন জায়গায় ধরনা দিয়েছেন, প্রতিবাদ জানিয়েছেন, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তবে বুধবার সন্ধ্যায় কার্যত নজিরবিহীন ছবি দেখা গেল। খোদ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে পৌঁছে গেলেন চাকরি প্রার্থীরা। চাকরি প্রার্থীদের অভিযোগ, সুপারিশপত্র পাওয়ার পরও আইনি জটিলতায় আটকে রয়েছে চাকরি। ফলে তাঁদের চাকরির বয়স পেরিয়ে যাচ্ছে।
এদিন বিকেলে চাকরির দাবি নিয়ে চাকরি প্রার্থীরা পৌঁছে যান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে। নিজেদের দাবি জানাতে গিয়ে রীতিমতো কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁরা। বিচারপতির বাড়ির নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের জানায়, বিচারপতি চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলবেন। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই দোতলা থেকে বিচারপতি নীচে নেমে এলেন। গেটের সামনে গিয়ে প্রার্থীদের সঙ্গে কথাও বললেন তিনি।
এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে সামনে পেয়ে চাকরি প্রার্থীরা বলেন, ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে সুপারিশপত্র পেয়েও সুপার নিউমেরারি পোস্ট ঘিরে আইনি জটিলতার কারণে চাকরিতে যোগ দিতে পারছেন না তাঁরা। সেই কারণেই তাঁরা এদিন বিচারপতির দ্বারস্থ হয়েছেন।
চাকরি প্রার্থীদের সব শুনে বিচারপতি তাদের আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেন। সেই সঙ্গে আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলারও পরামর্শ দিয়েছেন। এরপরই এক চাকরি প্রার্থী বলেন, “টাকা কোথা থেকে জোগাড় করব বলুন। এত টাকা কোথায়?” বিচারপতি তাঁদের পরামর্শ দেন, টাকা না থাকলে আদালতের লিগাল এইড-এর সঙ্গে যোগাযোগ করতে। সেখানে নিখরচায় আইনি পরামর্শ দেন আইনজীবীরা।
এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় চাকরি প্রার্থীদের বলেন, “আমি শুধুমাত্র আপনাদের সহানুভূতি জানাতে পারি। আমার কাজের একটা সীমাবদ্ধতা আছে। গণ্ডীর বাইরে তো আমি যেতে পারব না। আপনাদের সঙ্গে দেখা করারও কথা নয় আমার। শুধুমাত্র আপনাদের প্রতি সহানুভূতিশীল বলেই দেখা করেছি। আমি শুধু পরামর্শ দিতে পারি।”