কলকাতা: ‘গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে কমিশন’, সোমবার দিল্লিতে তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে হেনস্তার ঘটনার পর রাতে এমনই মন্তব্য করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহারের অভিযোগ তুলে এদিন দিল্লিতে (Delhi) নির্বাচন কমিশনের (Election Commission of India) ফুল বেঞ্চের সঙ্গে দেখা করে তৃণমূলের (TMC) প্রতিনিধি দল। এই দলে ছিলেন তৃণমূলের ১০ জন সাংসদ এবং প্রাক্তন সাংসদ। সোমবার কমিশনের কাছে অভিযোগ এবং তাঁদের দাবি জানিয়ে বাইরে এসে ধর্নায় বসে পড়েন শান্তনু সেন, দোলা সেন, ডেরেক ও’ব্রায়েনরা। ২৪ ঘণ্টা ধর্নায় বসার ঘোষণা করেন তৃণমূল সাংসদরা। কয়েক মিনিট পরেই সেই ধর্না তুলে দিতে পদক্ষেপ করে দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। যা ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। রীতিমতো টেনে হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয় তৃণমূলের প্রতিনিধিদের।তাঁদের ১০ জনকে আটক করে দিল্লির মন্দির মার্গ থানার ভিতরে রাখা হয়।
এনিয়ে কথা বলার জন্য রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কাছে সময় চেয়েছিলেন অভিষেক। রাত ৯টায় সময় দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। সেই মতো এদিন রাজভবনে যান অভিষেক। সঙ্গে ছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, ব্রাত্য বসু, অরূপ বিশ্বাস সহ ১১ জন সদস্য।
রাজভবন থেকে বেরিয়ে অভিষেক বলেন, ‘রাজ্যপালকে বলেছি, আপনি এ রাজ্যে সংবিধানের ধারক ও বাহক। তিনি কথা দিয়েছেন, মঙ্গলবার কমিশনের সঙ্গে কথা বলবেন।’ এরপরই দিল্লিতে তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে হেনস্তা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দিকে আঙুল তুলে অভিষেক বলেন, ‘দিল্লিতে যা হয়েছে তা নিন্দনীয়। গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে। কমিশনের অঙ্গুলিহেলন ছাড়া হতে পারে না। দিল্লি পুলিশকে কাজে লাগিয়ে অসম্মান করা হয়েছে তৃণমূলের সদস্যদের। টেনেহিঁচড়ে তাঁদের ভ্যানে তোলা হয়েছে।’ তাঁর কথায়, ‘গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে কমিশন।’