উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচি শেষ হলেই রাজ্যে বাজবে পঞ্চায়েত ভোটের দামামা। ভোট শেষ হলেই কেন্দ্রের কাছে বকেয়া ১০০ দিনের টাকা আদায় করতে শুরু হবে বৃহত্তর লড়াই। মুর্শিদাবাদে গিয়ে হরিহরপাড়ার সভায় এমন ঘোষণাই করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
রবিবার রাতে ‘তৃণমূলের নবজোয়ার’ কর্মসূচীতে বহরমপুরে এসেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাঁর আগে হরিহরপাড়ার সভায় অভিষেক বলেন, ‘‘নবজোয়ার যাত্রা শেষ হলেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট হবে। বাংলার মানুষের ১০০ দিনের কাজের টাকা কেন্দ্র আটকে রেখেছে। বাংলার প্রাপ্য আমরা ছিনিয়ে আনবই। পঞ্চায়েতের পরে দিল্লি যাব বাংলার হয়ে আন্দোলন করতে। অভিষেক এ দিন হরিহরপাড়ার সভায় সরাসরি শ্রোতাদের প্রশ্ন করেছেন। জিজ্ঞাসা করেছেন, ২০১৯ সালে কেন আপনারা তৃণমূলকে ভোট দিয়েছেন? উত্তরে কেউ বলেছেন, এনআরসি রুখতে। অনেকের দাবি, উন্নয়নের জন্য। কেউ বলেছেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করতে। অভিষেক বলেন, ‘‘বাংলায় এনআরসি হয়নি, উন্নয়ন হয়েছে এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিও রক্ষা করা গিয়েছে। তাই আবার বলছি, আমরা নিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিই না।’’
হরিহর পাড়ার সভা শেষ করে করে বহরমপুরে পৌঁছান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর তাঁবুর পাশেই ‘নবজোয়ার’ কর্মসূচিতে ব্যালটে ভোট দেওয়া ঘিরে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। ছাপ্পা ভোট থেকে শুরু করে চেয়ার ছোঁড়ড়াছুড়িদলীয় কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি কিছুই বাদ যায়নি। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে তা সামাল দিতে মোতায়েন করতে হয় বিরাট পুলিশ বাহিনী। তার প্রেক্ষিতে অভিষেক পরে আবার বলেছেন, যাঁরা ভোট দিতে পারেননি, তাঁরা নাম লিখে তাঁর কাছে পাঠিয়ে দিতে পারেন। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটে যেখানে দল যাঁকে শেষ পর্যন্ত প্রার্থী করবে, তাঁকেই সকলকে মেনে নিতে হবে এবং ভোটের কাজ করতে হবে।