উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ ইদানিং চোর চোর শ্লোগানের সঙ্গে পরিচিত হয়ে পড়েছে রাজ্যবাসী। গোরুপাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত, শিক্ষা দুর্নীতিতে ধৃত পার্থ, মানিক, এমনকি কালীঘাটের কাকুকে শুনতে হয়েছে ‘চোর চোর’ শ্লোগান। এবার এই শ্লোগান শুনতে হচ্ছে তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। রবিবারও মতুয়াগড়ের ঠাকুরবাড়িতে গিয়ে তাকেও শুনতে হল চোর চোর শ্লোগান। এই নিয়ে ঠাকুরবাড়ি চত্ত্বরে তুমুল শোরগোল প্রত্যক্ষ করল রাজ্যবাসী। এমনকী একাধিক জায়গায় মমতা ও অভিষেক বিরোধী পোস্টারও পড়ে এলাকায়।
নবজোয়ার কর্মসূচীতে মতুয়াগড় বনগাঁ ঠাকুরনগরে গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিকল্পনা ছিল ঠাকুরবাড়িতে পুজো দিয়ে কর্মসূচী শুরুর। এদিন সকাল থেকেই ঠাকুরবাড়ি চত্বরে ছিল তুমুল শোরগোল। বিকেলের দিকে ঠাকুরনগরে ঠাকুরবাড়িতে পৌঁছোন অভিষেক। কিন্তু মূল মন্দিরের দরজা বন্ধ থাকায় ভেতরে ঢুকতে পারেননি তিনি। তবে পাশের মন্দিরে গিয়ে পুজো দেন অভিষেক। এরপর বাইরে এসে সরাসরি বনগাঁর বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনুকে চ্যালেঞ্জ ছোড়েন তিনি। অভিষেক বলেন, ‘ঠাকুরবাড়ি কারও পৈতৃক সম্পত্তি নয়। আমি তিন মাস পর ফের আসব। পারলে আটকান।’ অভিষেক ঠাকুরবাড়ি ছাড়তেই উঠল চোর চোর চোরটা স্লোগান।
এদিন ঠাকুরবাড়িতে ক্যামেরার সামনে অনেকেই চিৎকার শুরু করে দেন চোর চোর চোরটা। ঠিক যেমন এতদিন শিক্ষা দুর্নীতিতে ধৃতরা শুনতেন। দুর্নীতি মামলায় একাধিকবার ইডি সিবিআইএর মুখোমুখি হতে হয়েছে অভিষেককে। ফের নিয়োগ দুর্নীতিতে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় এজেন্সি তলব করেছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তবে তিনি হাজিরা দেবেন কি না সেটা এখনও জানা যায়নি। তবে এদিন ঠাকুরবাড়ি গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে বের হতেই মতুয়াগড়ে উঠল চোর চোর স্লোগান। বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর অভিযোগ তোলেন ঠাকুরনগরে পুলিশ এসে মন্দিরের পবিত্রতা নষ্ট করেছে।
এদিকে এই ‘চোর চোর’ স্লোগান প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, ঘটনাটি বিজেপির সাজানো। দলীয় রাজনীতি করার জায়গা নয় ঠাকুরনগর। শুভেন্দু অধিকারীকে দেখে যখন তৃণমূল চোর চোর স্লোগান দেবে তখন সেটা মিডিয়াতে আসবে তো? টুইট করে কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, জুতো পরে মন্দিরে ঢুকেছিল সিআইএসএফ। তারা মহিলাদের হেনস্থা করেছে। তাদের গয়না ছিনতাই করেছে। অসংসদীয় ভাষা ব্যবহার করেছেন। ধর্মীয় ভাবাবেগ সম্পর্কে তাদের কোনও শ্রদ্ধা নেই। নিজেদের সাংসদের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে মিস্টার অধিকারী দেখিয়ে দিয়েছেন মতুয়ারা বিজেপির রাজনীতির দাবার বোড়ে।