কুমারগঞ্জ: রাস্তায় চলাচলকারী গাড়ি চেকিংয়ের নামে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠল ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে। বুধবার এই অভিযোগে বিক্ষোভে শামিল হলেন কুমারগঞ্জ এলাকার বাসিন্দারা। কয়েকজন বাইক চালকের অভিযোগ, মাথায় হেলমেট না থাকা ও বিভিন্ন কাগজপত্রের দোহাই দিয়ে ফুলবাড়ি থেকে আসা ট্রাফিক পুলিশের লোকজন কুমারগঞ্জের সাহাপুকুরের পার্শ্ববর্তী ভূতকুড়ি এলাকায় দিনের পর দিন ঘুষ নিচ্ছে ও টাকা আত্মসাৎ করছে। এদিন কয়েকজন বাইক চালকের কাছ থেকে ফাইন বাবদ টাকা অনলাইনের মাধ্যমে ও নগদে আদায় করে পুলিশ আত্মসাৎ করেছে বলে পুনরায় অভিযোগ ওঠে। কারণ টাকা নিলেও বাইক চালকদের কোনওরকম রশিদ দেননি বলে ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ।
বাইক চালক রব্বানী মোল্লা, শরিফুল মণ্ডল, আরিফ হোসেন মোল্লা সহ আরও কয়েকজন ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে এদিন অভিযোগ তুলে ধরেন। এই ঘটনাকে ঘিরে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে ভূতকুড়ি এলাকা। এদিন দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ প্রচুর মানুষ সেখানে এসে ফুলবাড়ি থেকে আসা ট্রাফিক পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়ারদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। অবস্থা বেগতিক হলে খবর পেয়ে কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। বেশ কিছুক্ষণ উত্তেজিত জনতাকে পুলিশ বোঝানোর পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শেষমেষ উভয়পক্ষকে নিয়ে এদিনের ঘটনার বিষয়টি পর্যালোচনার জন্য কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ ও বালুরঘাট ট্রাফিক পুলিশের উপস্থিতিতে একটি বৈঠক হয় কুমারগঞ্জ থানায়। কয়েকজন অভিযোগকারী বাইক চালক সহ এলাকার মানুষজন এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এবিষয়ে ডিএসপি ট্রাফিক বিল্লমঙ্গল সাহা জানান, অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনা হয়েছে। অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে যে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।