রায়গঞ্জঃ জমি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে এক ব্যক্তিকে মারধোরের অভিযোগ উঠল ইটাহার থানার এক অফিসার সহ ৫ পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে। ওই ব্যক্তি গুরুতর জখম অবস্থায় চিকিৎসাধীন ইটাহার গ্রামীন হাসপাতালে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে নিগৃহীতের পরিবার।
জানা গিয়েছে, গত ১৩ মার্চ নিজের জমিতে গাছ লাগাচ্ছিলেন নজরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি। সেই সময় এক পুলিশ অফিসার, একজন পুলিশ কনস্টেবল ও তিন সিভিক ভলান্টিয়ার সেখানে এসে জমি থেকে তুলে ইটাহার থানায় নিয়ে যায়। সেখানে নজরুল ইসলামকে বেধড়ক মারধোর করা হয় বলে অভিযোগ। পাশাপাশি একটি সাদা কাগজে টিপসই নিয়ে নেন পুলিশকর্মীরা। পুলিশের হাতে মার খেয়ে গুরুতর জখম তাঁকে ইটাহার গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করেন অভিযুক্ত পুলিশকর্মীরা। সে সময় পরিবারের লোক হাসপাতাল ক্যাম্পাসে হাজির হলে তৎক্ষণাৎ অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার সহ চারজন সেখান থেকে পালিয়ে যায়। সেখানে নজরুলের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রেফার করা হয় রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। বর্তমানে সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে। এই ঘটনায় ইটাহার থানায় অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে গেলে নজরুলের ছেলে জাহাঙ্গীরকে ইটাহার থানা থেকে বের করে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। এরপরই তাঁরা শরণাপন্ন হন জেলা পুলিশ সুপারের। সেখানে পুলিশ অফিসার সাব-ইন্সপেক্টর সুকমল রায়, কর্তব্যরত তিন সিভিক ভলেন্টিয়ার, একজন কনস্টেবল এর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুয়লিশ সুপারের নির্দেশে অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার সহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে জেলা পুলিশ।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীর হুসেন বলেন, “আমার বাবাকে জমি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে থানায় বেধড়ক মারধর করে পুলিশ অফিসার সহ পাঁচজন। লকআপের মধ্যে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন বাবা। সেখান থেকে আমার বাবাকে পুলিশ ইটাহার গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করে। এরপরই খাবর পাই আমরা। খবর পেয়ে হাসপাতাল ক্যাম্পাসে গেলে পুলিশ অফিসার সহ অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীরা পালিয়ে যায়। সেই ঘটনায় ইটাহার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে গেলে পুলিশ অভিযোগ নেয়নি। যেহেতু সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাই আমাকে সেখান থেকে বের করে দেয়। এরপর পুলিশ সুপার ও আদালতের বিচারকের শরণাপন্ন হই।”
ইটাহার থানার পুলিশ আধিকারিক বলেন, “জমি বিবাদের জেরে দুই পক্ষকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছিল। তারপর কি হয়েছে সে বিষয়ে জানি না। পুলিশ সুপার মোঃ সানা আক্তার বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত চলছে।