উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভা থেকে সাসপেন্ড হয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। এবার অধীরের সাসপেনশন ইস্যুতে মোদি সরকারের সঙ্গে সংঘাতের পথে হাঁটতে চলেছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের সংসদীয় বোর্ডের চেয়ারপার্সন সনিয়া গান্ধি শুক্রবার অধীর ইস্যুতে এক জরুরি বৈঠক ডাকেন।
মণিপুর ইস্যুতে সংসদে বিরোধী জোটের অনাস্থা প্রস্তাবের জবাবে বুধ ও বৃহস্পতিবার বারবার উঠে আসে কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরীর নাম। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কিংবা প্রধানমন্ত্রী মোদি বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে খোঁচা দেন অধীরকে। অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটির শেষে ‘অসংসদীয় আচরণের’ অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদের বিরুদ্ধে স্বাধিকারভঙ্গের প্রস্তাব আনেন কেন্দ্রীয় সংসদীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী। স্পিকার ওম বিড়লা বিরোধী শূন্য লোকসভায় সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেন। স্পিকার বলেন, ‘যতদিন না লোকসভার স্বাধিকার রক্ষা কমিটি অধীরের বিষয়ে রিপোর্ট জমা দেয়, ততদিন তিনি সাসপেন্ড থাকবেন।’ প্রসঙ্গত গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ছিল সংসদে বাদল অধিবেশনের শেষ দিন। সুতরাং অধীর ইস্যুতে আজ যদি কোন সিদ্ধান্ত না নেওয়া হয়, তাহলে তিনি আগামী শীতকালীন অধিবেশন পর্যন্ত সাসপেন্ড থাকবেন।
সাসপেনশন প্রসঙ্গে অধীর চৌধুরী বলেন, ‘আমি কাউকে অপমান করিনি। চন্দ্রযান থেকে কুনোর চিতা পর্যন্ত সমস্ত বিষয়ে মোদী কথা বললেও মণিপুর প্রসঙ্গে চুপ থাকায় তিনি ‘নীরব’ শব্দ এবং ‘অন্ধ ধৃতরাষ্ট্র’ উপমা ব্যবহার করেছেন। মোদি এবং শা ‘ইন্ডিয়া’কে ভয় পেয়েছেন’।
বিজেপি ও মোদি সরকারের বিরুদ্ধে আরও বলেন, ‘শুধু প্রহ্লাদ জোশী কেন, বিজেপির সব নেতা মিলে যদি আমার একটা শব্দ, একটা ব্যাখ্যা মানুষের বিচারে ‘ভুল’ প্রমাণ করতে পারেন, তবে আমি আমার রাজনৈতিক জীবন ছেড়ে দেব।’