শিলিগুড়ি: এক ব্যক্তিকে বাড়িতে ঢুকে খুনের অভিযোগ। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটে শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের দুর্গানগরে। মৃতের নাম বিপুল গুপ্ত। পরিবারের অভিযোগ, বিপুলকে স্থানীয় রাম বর্মন নামে এক ব্যক্তি খুন করেছে। বাড়ির শৌচালয় থেকে বিপুলের স্ত্রী লক্ষ্মী গুপ্ত ও ১২ বছরের ছেলে দেবরাজ রামকে বের হতেও দেখেছে। মৃতের গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। শৌচালয়ে তখন বিপুলের দেহ পড়েছিল। রামের শরীরে রক্ত লেগেছিল। শৌচালয় থেকে বেরোনোর পর রাম মহানন্দা নদীর চর ধরে পালিয়ে যায়। ঘটনার ঘন্টা দুয়েকের মধ্যে স্থানীয় রেল সেতুর নীচ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রাম গলায় যে কাঠের মালা পড়ত, বিপুলের বিছানা থেকে সেই কাঠের মালাও পেয়েছে পুলিশ।
এদিকে খবর জানাজানি হতেই রামের বাবার বাড়িতে ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা। অভিযুক্তের দিদি মোনা শর্মা বলেন, রাম পাশের গলিতে বউকে নিয়ে ভাড়া থাকত। বাড়ির লোকের সঙ্গে অনেকদিন ধরেই যোগাযোগ নেই। অভিযুক্ত রামের বিরুদ্ধে এর আগে একাধিকবার বিয়ের অভিযোগ রয়েছে।
মৃতের স্ত্রী লক্ষ্মীর বক্তব্য, একই পাড়ার হলেও তাঁদের সঙ্গে রামের পরিবারের বিশেষ যোগাযোগ ছিল না। ঘটনার দিন রাত সাড়ে নটা নাগাদ বাড়ির কাছে এক বিয়ের অনুষ্ঠান থাকায় ছেলেকে নিয়ে সেখানে গিয়েছিলেন লক্ষ্মী। লক্ষীর কথায়, অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে বিপুল বাড়িতে আসে। এরপর বিপুল ঘুমিয়ে পড়লে তাঁরা বিয়েবাড়ি যান। দরজা খোলা থাকার সুযোগে রাম ঘরে ঢুকে পড়ে। কিছুক্ষণ পর লক্ষ্মী ছেলেকে নিয়ে ফিরতেই দেখে বিপুল নেই। বাড়ির শৌচালয়ের দরজার তলা দিয়ে রক্ত বেরিয়ে আসছে। শৌচালয়ের দরজায় ধাক্কা দিতেই পেছন দিয়ে রাম পালিয়ে যায়। ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা ছড়ালে হাজির হন এসিপি ইস্ট ওয়ান মকসুদ রহমান, শিলিগুড়ি থানার আইসি অনুপম মজুমদার, খালপাড়ার ওসি মৃন্ময় ঘোষ। এছাড়াও আসেন ওই ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলার বিবেক সিং ও প্রাক্তন কাউন্সিলার পরিমল মিত্র। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। কি কারণে খুন, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।