হরিশ্চন্দ্রপুর: পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের পর সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠল বাম-কংগ্রেস জোটের বিরুদ্ধে। শনিবার মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নম্বর ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন ছিল। কড়া পুলিশি নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে বোর্ড গঠন করে বাম-কংগ্রেস ও নির্দল জোট। বোর্ড গঠনের পরে উচ্ছ্বাসে মেতে উঠে বাম-কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকেরা। শুরু হয় বিজয় মিছিল। কিন্তু মিছিল বের করে বিজেপি, কংগ্রেস-সিপিআইএমের জোট কর্মীরা সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ তোলে শাসক শিবির। কংগ্রেস-সিপিআইএম জোট কর্মীদের বেধড়ক মারধরের জেরে আহত হয় দুই তৃণমূলকর্মী। দু’জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে গাংনদীয়া গ্রামের আহত তৃণমূলকর্মী সামিউল হককে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপতালে স্থানান্তরিত করা হয়। অন্যদিকে, রামপুরের একটি বাড়িতে ইট পাথর ছুঁড়ে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে বাম কংগ্রেস জোটের বিরুদ্ধে। যদিও জোটের পালটা অভিযোগ, আমাদের বিজয় মিছিলে হামলা চালিয়েছে, আমাদের কর্মীদের বেধড়ক মারধর করেছে। আমরা ওদের কাউকে আক্রমণ করিনি।
হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য স্বপন আলি বলেন, পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের পর কংগ্রেস, সিপিআইএম ও বিজেপির লোকজন গ্রামে এসে লাঠি, হাসুয়া দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের বেধড়ক মারধর করে। এই ঘটনার সঠিক বিচার চাই। সিপিআইএম নেতা প্রণব দাস জানান, তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ ভিত্তিহীন। জোটের কোনও ব্যক্তি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নেই। প্রশাসনের মদতে মিথ্যা মামলায় জড়াতে চাইছে তৃণমূল।