কোচবিহার: দীর্ঘদিনের দাবিটা অবশেষে পূরণ হতে চলেছে। শিয়ালদা-বামনহাট উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস (Uttarbanga Express) ট্রেনের কোচগুলি লিংক-হফম্যান-বুশে (এলএইচবি) রূপান্তরিত হতে চলেছে। জানা গিয়েছে, আগামী ৫ মে থেকে এলএইচবি কোচ নিয়ে চলাচল শুরু করবে ট্রেনটি। এই খবর সামনে আসতেই এখন উত্তরবঙ্গের রেলযাত্রীদের মধ্যে খুশির হাওয়া।
এপ্রসঙ্গে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে শনিবার জানান, উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস ট্রেনে এলএইচবি কোচ সংযোগ হচ্ছে। ধীরে ধীরে বাকি থাকা ট্রেনগুলোরও কোচ পরিবর্তন করা হবে। তারজন্য রেল বোর্ডে তালিকা পাঠানো হয়েছে।
রেলযাত্রী শম্পা দত্ত, প্রদীপ রায় সহ অন্যদের কথায়, মাঝেমধ্যেই কলকাতায় যেতে হয়। পদাতিক এক্সপ্রেসে এলএইচবি কোচ থাকলেও এতদিন উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেসে তা ছিল না। এই ট্রেনের পুরোনো ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি (আইসিএফ) কোচগুলোর পরিস্থিতি খুবই খারাপ ছিল। কোথাও জানলা বন্ধ করলেও বাতাস ঢুকত। কোথাও আবার দরজার লক নেই। শৌচালয়ের অবস্থাও খারাপ। সেই পরিস্থিতির এবার পরিবর্তন হতে চলেছে। এবার এলএইচবি কোচ হলে যাত্রীরা উপকৃত হবে বলে জানান তাঁরা।
রেল সূত্রে খবর, উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস ট্রেনটি ইস্টার্ন রেল থেকে পরিচালনা করা হয়। সম্প্রতি তারা একটি নির্দেশ জারি করেছে। তাতে বলা হচ্ছে শিয়ালদা-বামনহাট উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস ট্রেনটি আইসিএফ কোচ থেকে এলএইচবি কোচে রূপান্তরিত হচ্ছে। ৫ মে ট্রেনটি এলএইচবি কোচ নিয়ে শিয়ালদা থেকে যাত্রা শুরু করবে। ৬ মে বামনহাট থেকে এলএইচবি কোচে শিয়ালদা যাবে।
কোচবিহার জেলা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক সুরজকুমার ঘোষ জানান, রেলের বিভিন্ন মহলে উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে এলএইচবি কোচ লাগানোর দাবি করা হয়েছিল। সেই দাবি পূরণ হওয়ায় ব্যবসায়ীরা খুশি। আবার উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস ট্রেনটির কোচবিহার স্টেশনে স্টপের বিষয়ে দাবি জানান তিনি।
রেল সূত্রে খবর, রাজধানী এক্সপ্রেস, শতাব্দী এক্সপ্রেসের মতো ট্রেনগুলোতে এলএইচবি কোচ রয়েছে। সম্প্রতি পদাতিক, নর্থ-ইস্ট এক্সপ্রেস সহ হাতেগোনা কিছু ট্রেনে এই উন্নতমানের এলএইচবি কোচ লাগানো হয়েছে। এই কোচগুলিতে যাত্রা অনেকটাই নিরাপদ এবং আরামদায়ক হয়। এই কোচ থাকলে দ্রুত ট্রেন চালানো যায়। এছাড়া কোচগুলিতে যাত্রীও বেশি নেওয়া যায়। পাশাপাশি দুর্ঘটনা ঘটলে ক্ষয়ক্ষতিও কম হয় বলেই জানা গিয়েছে।
এদিকে উত্তরবঙ্গ বা উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল দিয়ে চলা বহু ট্রেনেই এখন আইসিএফ কোচ রয়েছে। যা বহু পুরোনো কোচ। এই কোচগুলোর অবস্থা এতটাই খারাপ যে রেল ট্রেনের গতি বাড়াতে পাড়ছে না। যা নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়েছে।