মেখলিগঞ্জ: বিএসএফ সীমান্ত এলাকার মানুষদের উপর অত্যাচার করে এই অভিযোগ বারংবার করেছে রাজ্যের শাসক দল।এবার একই অভিযোগ তুলে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে মেখলিগঞ্জ-ধাপড়া রাজ্য সড়কের কাংড়াতলি গ্রামে অবরোধে শামিল হলো বাগডোকরা ফুলকাডাবরি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান অনিমা রায়, উপপ্রধান ধরেন্দ্র নাথ রায় সহ পঞ্চায়েতের সদস্যরা।
ঘটনার সুত্রপাত বুধবার। জানা গেছে, মেখলিগঞ্জ ব্লকের ডাঙ্গারহাটের এক গৃহবধূ বিয়েতে দান হিসাবে পেয়েছিল দুটি বাছুর। বাছুর দুটি আনার জন্য প্রধানের সার্টিফিকেট নিয়ে সেখান থেকে টোটোতে করে ফিরছিলেন তিনি। ঠিক সেই সময় কুচলিবাড়ির অর্জুন ক্যাম্পে তাঁকে আটকে দেয় বিএসএফ। দুই ঘন্টা আটকে রাখার পর ওই গৃহবধূ স্থানীয় প্রধান সহ জনপ্রতিনিধিদের ঘটনার কথা জানায়। তারপর প্রধান, উপপ্রধান সহ জনপ্রতিনিধি গিয়ে ওই গৃহবধূ ও বাছুর দুটিকে ছেড়ে দিতে বলেন বিএসএফ আধিকারিকদের। কিন্তু সেইসময় কর্তব্যরত বিএসএফের এক আধিকারিক জনপ্রতিনিধিদেরর হেনস্থা করে।এমনকি গুলি করে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়। এরই প্রতিবাদে বাগডোকরা ফুলকাডাবরি গ্রাম পঞ্চায়েতের সাধারণ মানুষ বৃহস্পতিবার সকাল নটা থেকে কাংড়াতলিতে অবরোধ শুরু করেন। প্রায় তিন ঘন্টা অবরোধ চলার পর বিডিও ও পুলিশ প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয় স্থানীয়রা। অন্যদিকে পঞ্চায়েত প্রধান বলেন, ‘গ্রামে এখনও বিয়েতে গোরু বা বাছুর দান করার রীতির প্রচলন রয়েছে। কিন্তু সেই দানের গোরু নিয়ে যেতে বাঁধা দিচ্ছে বিএসএফ।তাই তাঁরা বিডিওর লিখিত চান, যাতে ভবিষ্যতে এই সমস্যায় তদের পড়তে না হয়। অন্যদিকে উপপ্রধান বলেন, ‘আগের বোর্ডে দলে দলে গোরু যেত এই রাস্তা দিয়ে। সেই গোরু পাচার হত। পুলিশ ও বিএসএফ জানার পরও চুপ করে থাকতেন। আর এখন কেউ দানের গোরু বা দুধ খাওয়ার জন্য গাভি নিয়ে যেতে পারছে না।অথচ রাতের বেলায় গোরু পাচার হচ্ছে।’ পাশাপাশি এক অবরোধকারী বলেন, ‘মাঝেমধ্যেই গাড়ি বোঝাই করে গোরু নিয়ে যায় পুলিশ। অথচ সাধারন মানুষ গোরু নিয়ে যেতে পারবেনা।’ এপ্রসঙ্গে বিডিওর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। তার বক্তব্য, ‘খোঁজ নিয়ে দেখছি।’ অন্যদিকে জলপাইগুড়ি সেক্টরের এক বিএসএফ আধিকারিক জানায়, রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেই সীদ্ধান্ত হয়েছে ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের আধিকারিকদের লিখিত অনুমতি ছাড়াই সীমান্ত এলাকা দিয়ে গোরু সহ বেশ কিছু জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়া হবে। সেই মত আটকানো হয়েছে। বিডিও লিখিত অনুমতি পত্র দিলেই গাভি দুটিকে ছেড়ে দেওয়া হবে।’