উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপিতে (BJP) যোগ দিলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং (Arjun Singh) এবং তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী (Dibyendu Adhikari)। শুক্রবার দিল্লিতে বিজেপির সদর দপ্তরে গিয়ে অমিত বিজেপিতে যোগ দেন তাঁরা। এদিন বিজেপিতে যোগ দিয়েই সন্দেশখালির ঘটনায় সরব হন দু’জন (Arjun Singh-Dibyendu Adhikari)।
দিব্যেন্দু অধিকারী বলেন, ‘বাংলায় যে ধরনের সন্ত্রাস হয় দেশের অন্য রাজ্যে দেখা যায় না। সন্দেশখালিতে যা হয়েছে নিন্দার ভাষা নেই। মমতার সরকার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দিলেও মহিলাদের সম্মান নেই।’ এদিকে বছর দুয়েকের মধ্যে ফের বিজেপিতে ‘ঘর ওয়াপসি’ হল অর্জুন সিংয়ের। এদিন বিজেপিতে ফিরেই তিনিও সন্দেশখালির ঘটনায় সরব হন। পাশাপাশি তাঁর কথায় শোনা যায় ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনাও। তিনি বলেন, ‘২০২১-এ ভোটের পর থেকে বাংলায় হিংসা-অত্যাচার শুরু হয়েছে। দলের কর্মীদের অত্যাচার থেকে বাঁচাতে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন তিনি।’ বাংলায় দুষ্কৃতীদের সঙ্গে অপরাধে প্রশাসনও জড়িত বলে দাবি করেন অর্জুন।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে অর্জুন বিজেপির প্রতীকে এবং দিব্যেন্দু তৃণমূলের (TMC) টিকিটে জয়ী হয়ে সাংসদ হয়েছিলেন। ২০২০ সালের ১৯ ডিসেম্বর শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলে কাঁথির অধিকারী পরিবারের সঙ্গে বিস্তর দূরত্ব তৈরি হয় তৃণমূল নেতৃত্বের। অন্যদিকে, ২০২২ সালের মে মাসে তৃণমূলে ফিরে গিয়েছিলেন অর্জুন। কিন্তু এবার তাঁকে তৃণমূল লোকসভার প্রার্থী না করায় আবার বিজেপিতে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এদিন দিল্লিতে বিজেপির সদর দপ্তরে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন দুজন। উপস্থিত ছিলেন অমিত মালব্য।
দিব্যেন্দু এবং অর্জুনকে স্বাগত জানিয়ে অমিত মালব্য বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে যেভাবে বিজেপিতে ওঁরা যোগ দিলেন, তাতে বোঝা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর দলকে নেতৃত্ব দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। সন্দেশখালির ঘটনায় পীড়িত হয়েছেন এই দুই সাংসদ। তাই তাঁরা আমাদের দলে যোগ দিলেন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা দুর্নীতিগ্রস্ত। অনেক মন্ত্রী দুর্নীতির দায়ে জেল খাটছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে বাংলায়। যাঁরা পশ্চিমবঙ্গে শান্তি ফেরাতে চান, তাঁদের আমরা বিজেপিতে নিয়ে আসার চেষ্টা করব।’