নাগরাকাটাঃ গাছকে ‘গ্রেপ্তার’ (Arrest the tree) করল নাগরাকাটার (Nagrakata) একটি বেসরকারি রিসর্ট (private resort)। তাও আবার একশো বছরের জন্য। আশ্চর্যজনক মনে হলেও এমনই ঘটনা ঘটিয়েছে আপার কলাবাড়ি বস্তিতে অবস্থিত ওই রিসর্ট কর্তৃপক্ষ। এর মাধ্যমে আখেরে গাছ কে সুরক্ষিত রেখে পরিবেশ সচেতনতার বার্তাই দেওয়া হচ্ছে। এমন নজিরবিহীন উদ্যোগের প্রশংসা করছেন পরিবেশপ্রেমীরা।
রিসর্টের কর্ণধার শেখ জিয়াউর রহমান বলছেন, দুটো কারণে এই গাছ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রথমত, ধৃত গাছটি নিজে নিজেই বেড়ে ওঠার কারণে পাশে আমাদের লাগানো একটি গাছ মরে গেছে। মানুষ যদি মানুষকে হত্যা করে তবে অপরাধীর যেমন সাজা হয় ঠিক তেমনই এই গাছটিকেও সাজা দেওয়া হল। এর মাধ্যমে আসলে মানুষের কাছে বার্তা প্রদান কেউ কখনও অপরাধ করবেন না। দ্বিতীয় কারণটি হল, গাছের প্রয়োজন সমাজের কাছে বোঝানো। গাছ কাটলে মানুষের শাস্তি যে এমন গ্রেপ্তারিই হতে পারে সেই বার্তাও দেওয়া।
হঠাৎ এই পরিকল্পনা মাথায় আসলো কেন? এর পেছনে রিসর্টের পরিচালকরা জানাচ্ছেন, এর পেছনে ইতিহাস জড়িয়ে আছে। ইংরেজ আমলে নিজের বাংলোর দিকে একটি গাছের ডালপালা এগিয়ে আসা শুরু হওয়ায় এক ব্রিটিশ পুলিশ সেই গাছকে ১০০ বছরের জন্য গ্রেপ্তার করেছিলেন। স্থানীয়রা মনে করেন ব্রিটিশদের হাতে এলাকার মানুষের পরাধীনতার একটি প্রতীক এই গাছ। স্বাধীনতার পর দেশ বিভাজন হলে সেই গাছটি বর্তমানে রয়েছে পাকিস্থানের ভূ খন্ড পেশোয়ারে। ১২৫ বছর ধরে গ্রেপ্তার হওয়া অবস্থাতেই রয়েছে গাছটি।
এদিন যে গাছকে রিসর্টটি গ্রেপ্তার করেছে সেটির দেখভাল ও পরিচর্যায় তাঁরা কোন ত্রুটি রাখবে না বলে জানিয়েছে। যদি রিসর্টের মালিকানা কখনও হস্তান্তরও হয় তখন যাতে নয়া পরিচালকরা গাছের যত্ন আত্তির কাজটিকে চালিয়ে যান সেই শর্ত রাখা হবে।