উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের (icc-under-19-world-cup) ফাইনাল হতে চলেছে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে। আগেই ভারত দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২ উইকেটে হারিয়ে এই টুর্নামেন্টের ফাইনালে চলে গিয়েছিল। আজ রীতিমতো উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে পাকিস্তানকে (Pakistan) হারিয়ে দ্বিতীয় দল হিসেবে ফাইনালে গেল অস্ট্রেলিয়ার (Australia) যুব দল। এদিন ম্যাচের শেষ ওভারে ১ উইকেটে জিতে যায় তাঁরা।
বৃহস্পতিবার টসে জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক হিউ উয়েবগেন। অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের সামনে দাঁড়াতে পারেনি পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা। একসময় ৭৯ রানে ৫ উইকেট পড়ে যায় পাকিস্তানের। তবে আজম ওয়াইস ও আরাফত মিনহাস জুটি বেঁধে দলকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তোলেন। স্কোরবোর্ডে ৫২ রান যোগ করে তাঁদের জুটি। দুই ক্রিকেটারই ৫২ রান করে আউট হয়েছেন। প্রথমে আউট হয়েছেন আজম ওয়াইস। কিন্তু আরাফত টেল এন্ডারদের নিয়ে দলকে টানতে থাকেন। কিন্তু অর্ধশতরানের পর প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনিও। পাকিস্তানের ইনিংস শেষ হয়ে যায় ১৭৯ রানে। পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপের কাছে ত্রাস হয়ে দেখা দেন টম স্ট্র্যাকার। ১০ ওভারে ২৪ রানে ৬ উইকেট নেন তিনি।
তবে একই রকম ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ে অস্ট্রেলিয়াও। ওপেনার স্যাম কোনস্টাস ফিরতেই ধস নামে। আরেক ওপেনার হ্যারি ডিক্সনের সঙ্গে জুটি গড়েন অলিভার পিক। দু’জনে ৪৩ রান যোগ করেন পঞ্চম উইকেটে। এরপর টম ক্যাম্পবেলের সঙ্গে পিকের ৪৪ রানের জুটি অস্ট্রেলিয়াকে অনেকটা এগিয়ে দেয়। কিন্তু পিক আউট হতেই ফের বিপর্যয়ের মুখে পড়ে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটিং। বল হাতে তখন বিধ্বংসী হয়ে উঠেছেন আলি রাজা। ১৬৪ রানে অস্ট্রেলিয়ার ৯ উইকেট পড়ে যায়। পাকিস্তান শিবিরে তখন যুদ্ধ জয়ের আনন্দ। কিন্তু রাফ ম্যাকমিলানই পার্থক্য গড়ে দেন। ২৯ বলে ১৯ রান করে দলকে জয়ের পথে ফেরান তিনি। শেষ উইকেটে ১৭ রান তুলে ম্যাচ পকেটস্থ করে অস্ট্রেলিয়া। আলি রাজার ১০ ওভারে ৩৪ রানে ৪ উইকেটের দূর্দান্ত স্পেলও শেষ পর্যন্ত কোনও কাজে লাগেনি।