বালুরঘাটঃ সুকান্তর পদ্মবনে ঘাসফুল ফোটাতে মরিয়া তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। প্রার্থী বিপ্লবের সেনাপতি হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে বালুরঘাটের পুরপ্রধান অশোক মিত্রকে। দায়িত্ব পেয়েই কোমর বেঁধে প্রচারে নেমে পড়েছেন। তবে তৃণমূল শিবিরে তাঁকে নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কান পাতলে শোনা যায় অশোক মিত্র এক কুম্ভ।
আগের লোকসভা বা বিধানসভার নির্বাচনে বালুরঘাট শহরে তৃণমূলের কোনও জনপ্রতিনিধি ছিল না। ফলে বিজেপি ঝড়ে উড়ে যেত দলের প্রার্থী। এবারের লোকসভা ভোটের মুখে সেই চিত্রের খানিকটা হলেও বদল ঘটেছে। চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলারদের নেতৃত্বে নির্বাচনের সুযোগ পেয়েছেন বিপ্লব মিত্র। আর এখানেই আশাবাদী তৃণমূল জেলা নেতৃত্ব। বালুরঘাট পুরসভার উন্নয়ন কর্মসূচি ও পুরপ্রধানের স্বচ্ছ ভাবমূর্তিকে সামনে রেখে বিজেপিকে রুখতে মরিয়া তৃণমূল। সে কারণে বিপ্লব মিত্রের সেনাপতি হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে অশোক মিত্রকে।
গত লোকসভা ভোটে শহরের সব ওয়ার্ডে এগিয়ে ছিল পদ্মপ্রার্থী। গত বিধানসভা নির্বাচনে মাত্র দুটি ওয়ার্ডে লিড পেয়েছিল তৃণমূল। বাকি সব আসনেই এগিয়ে ছিল বিজেপি। তবে ২০২২ সালে পুর নির্বাচনে তৃণমূল ব্যাপকভাবে ফিরে আসে। আগামী লোকসভা ভোটে শহরে নিজেদের প্রতিপত্তি ফিরে পেতে মরিয়া তৃণমূল জেলা ও শীর্ষ নেতৃত্ব। শহরের নাগরিক পরিষেবা ও উন্নয়নকে হাতিয়ার করতে পুরপ্রধান ও কাউন্সিলারদের নির্দেশ দিয়েছেন বিপ্লব মিত্র। বলেছেন, মানুষের দুয়ারে যেতে হবে। শুনতে হবে তাঁদের কথা। অন্যদিকে, বিজেপিকে রুখতে দিনরাত এক করে ফেলেছেন পুরপ্রধান অশোক মিত্র।
প্রার্থী বিপ্লবের অত্যন্ত বিশ্বাসভাজন অশোক মিত্র গোটা দিন দলের কাজে ব্যস্ত রাখছেন। এদিন সকালে নিজের ওয়ার্ডে প্রচারে বেরিয়েছিলেন। বাড়ি ফিরেই জল-মুড়ি খেয়ে আবার শহরের অন্য ওয়ার্ড ও গ্রামীণ এলাকায় চলে যাচ্ছেন। মূলত, ছোট ছোট বৈঠকগুলোকে গুরুত্ব দিচ্ছেন বলে এদিন জানিয়েছেন।
অশোক মিত্র বলেন, ‘বালুরঘাট শহরের জন্য আমরা বিস্তর কাজ করেছি। সেসব পুস্তিকা আকারে প্রকাশ করেছি। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের ৭০ টি প্রকল্পের জন্য পৃথক পুস্তিকা রয়েছে। বাংলা বিরোধীদের বিসর্জনের ডাক দিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ হয়েছে। ওই ভিডিও নিয়ে মানুষের বাড়িতে যাচ্ছি। ইতিমধ্যে আমরা বালুঘাট শহরের সঙ্গে গ্রামীণ এলাকার যোগাযোগের রাস্তা তৈরি করেছি। শহরেও তৈরি করা হয়েছে নতুন নতুন রাস্তা। জোর দেওয়া হয়েছে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার ওপর। তৈরি করা হয়েছে পার্কিং প্লেস। বসেছে মনীষীদের মূর্তি। ঘরে ঘরে পানীয় জল পৌঁছে দিয়েছি। আর যিনি এখানে সাংসদ হিসেবে পাঁচ বছর ছিলেন তিনি এই শহরের জন্য কিছুই করেননি। মানুষ এর বিচার করবে। আমরা আশাবাদী এবারে বিজেপিকে রুখে দেবে মানুষই।’
বিজেপির যুবনেতা বাবুসোনা অধিকারী বলেন, ‘গত ভোটে শহরে বিজেপির লিড ছিল ১৭ হাজারের বেশি। এবারের ভোটে সুকান্ত মজুমদারের উন্নয়ন মানুষ দেখেছেন। এবারে লিড আরও বাড়বে।’