গোলাপগঞ্জঃ গোলাপগঞ্জের রাস্তায় প্রচার সারছিলেন তৃণমূল প্রার্থী শাহনওয়াজ আলি রায়হান। তাঁকে দেখেই কিছুটা আপ্লুত হয়ে ওঠেন এলাকার প্রবীণ কংগ্রেস নেতা দামোদর মণ্ডল। তিনি নিজেই বলে ওঠেন, ‘বরকতদা আর রায়হানকে এক আত্মা মনে হচ্ছে। যেভাবে সাধারণ মানুষ রায়হানকে আপন করে নিচ্ছে, দেখে ভাবছি এতো আশির দশকের খান সাহেব।’
হ্যাঁ, গোলাপগঞ্জের অনেকেই এবিএ গনিখান চৌধুরীর ছায়া দেখছেন দক্ষিণ মালদার তৃণমূল প্রার্থীর মধ্যে। বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকা গোলাপগঞ্জের এক সময়ের দাপুটে কংগ্রেস নেতা ছিলেন দামোদর মণ্ডল। তিনি জানান, ‘রায়হানকে দেখে ও তাঁর কথা শুনে মনে হচ্ছে বরকত সাহেবকে দেখছি।’ শুধু দামোদর মণ্ডলই নন, রায়হানকে নিয়ে একই কথা এলাকার অনেকেরই।
মঙ্গলবার সকালে কালিয়াচক পুরাতনবাবুর হাটের বাড়ি থেকে বৈষ্ণবনগর বিধানসভা কেন্দ্রের চরঅনন্তপুর টাওয়ার মোড় থেকে প্রচার শুরু করেন তৃণমূল প্রার্থী। হুড খোলা গাড়িতে বিধায়িকা চন্দনা সরকারকে সঙ্গে নিয়ে প্রখর রৌদ্রে এগোতে থাকেন শাহনওয়াজ। কালিয়াচক ৩ ব্লকের চরি অনন্তপুর বাজার, গোলাপগঞ্জ বাস স্ট্যান্ড, খড়িবনা বাজার, ষাড়দাহ্ মোড়, শ্মশানী গোয়ালপাড়া হয়ে বাবরবনা যায় রায়হানের কনভয়।
পরে শ্রীনিবাসপুর, সাহেলাপুর বিজয় মোড়, গোয়েশ্বরি হাইস্কুল মোড়, রামনগর বাজার, ভোলায়চক, ডোমায়চক, শাহবাজপুর স্ট্যান্ডের বিভিন্ন রাজ্য সড়ক, মেঠো আলপথ ধরে গ্রামে গ্রামে ঘুরে বামনটোলা স্কুল মোড় পর্যন্ত রোড শো করেন তিনি। গ্রামের পথে পথে হুড খোলা গাড়ি, কোথাও আবার জনসাধারণের ভিড়ে রাস্তায় নেমে জনসংযোগ করতে দেখা যায় তাঁকে। পথের দু’ধারে উৎসুক মানুষ তাঁকে দেখতে যেমন ভিড় জমান, আবার কোথাও ফুলের মালা পরিয়ে বরণ করে নেন তৃণমূল প্রার্থীকে।
সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কথা বলেন তৃণমূল প্রার্থী। শাহনওয়াজ বলেন, ‘এখানকার প্রাক্তন সংসদ সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষের সমস্যা, হাসপাতাল, পানীয় জলের সমস্যা, গঙ্গা ভাঙন সহ নানা বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে উদাসীন থেকে গিয়েছেন। পার্লামেন্টে গিয়ে এখানকার মানুষের কথা বলেননি। তাই উন্নয়নও অধরা থেকে গিয়েছে।’ পরে দলীয় কার্যালয়ে কর্মীসভা করেন। পরে ইফতারে অংশ নেন তিনি।