উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: শুধু রাজ্যেরই নন, গোটা দেশেই তিনি ‘দিদি’ নামে পরিচিত। আর প্রতি বছরই ভ্রাতৃদ্বিতীয়ার দিনটিতে বিশেষ আকর্ষণ হয়ে ওঠে সকলের ‘দিদি’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি। নিজের ভাইদের পাশাপাশি এই দিনটিতে রাজ্যের মন্ত্রী-বিধায়কদেরও ফোঁটা দেন মুখ্যমন্ত্রী। বাদ পড়েন না সাংবাদিকরাও। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বুধবার দিদির কাছ থেকে ফোঁটা পেয়েছেন নেতা, মন্ত্রী, বিধায়ক সহ আরও অনেকে।
এদিন মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে ফোঁটা নিয়েছেন কলকাতার মেয়র তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, জাভেদ খান, রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন এবং শান্তনু সেন। ফোঁটা পেয়েছেন লোকসভার সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল নেতা সমীর চক্রবর্তী এবং উলুবেড়িয়া উত্তরের বিধায়ক নির্মল মাজি সহ কয়েকজন। এছাড়াও অন্যান্য বছরের মতো এবারেও বেশ কয়েকজন সাংবাদিককেও ভাইফোঁটা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কেও দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে।
গত বছরের তুলনায় এবছর মুখ্যমন্ত্রীর ভাইফোঁটার তালিকায় তেমন কাটছাঁট হয়নি। তবে কিছু নতুন মুখ সংযোজিত হয়েছে। ২০২২ সালে ভ্রাতৃদ্বিতীয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে আমন্ত্রিত ছিলেন শুধু ফিরহাদ, অরূপ, সুব্রত, ডেরেক। এবারে নতুন যুক্ত হয়েছেন কল্যাণ, নির্মল, জাভেদ, শান্তনু ও সমীর। আগে মুখ্যমন্ত্রীর ভাইফোঁটার তালিকায় নাম ছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। তবে ২০২২ সালে ভাইফোঁটার আগেই পার্থ জেলে যাওয়ার পর থেকে তাঁর আর ফোঁটা নিতে যাওয়ার প্রশ্নই নেই।