উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ কর্নাটক বিধানসভা হাতছাড়া হয়েছে বিজেপির। আর সেই কর্নাটকেই ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া গেরুয়া শিবির। লোকসভার আগে দাক্ষিনাত্যে বিজেপি ইন্ডিয়া জোটের মোকাবিলায় হাত ধরতে চাইছে কর্নাটকের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়ার জনতা দল সেকুলারের সঙ্গে। আগামী লোকসভা নির্বাচনে ওই রাজ্যে জোট করে লড়াই করবে বিজেপি-জেডিএস। রাজ্যের ২৮টি লোকসভা আসনের মধ্যে চারটি জেডিএসকে ছেড়ে দিচ্ছে বিজেপি।
মাত্র ছয় মাস আগে কর্নাটকে বিধানসভা ভোটে ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির। বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের উদ্দেশ্য ছিল দক্ষিণে একটি আঞ্চলিক দলকে পাশে পাওয়া। দেশের বেশিরভাগ প্রভাবশালী আঞ্চলিক দলই বর্তমানে ইন্ডিয়া জোটের পাশে আছে। এই লক্ষ্যেই লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি পাশে পেতে চাইছে কর্নাটকের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়ার জনতা দল সেকুলারকে। শুক্রবার বিজেপির প্রবীণ নেতা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএস ইয়েদুরাপ্পা বলেন, জেডিএসের সঙ্গে অলিখিত জোট আগেও ছিল। এবার তাতে পাকাপাকিভাবে সিলমোহর পরবে। জেডিএস-কে ‘কিং-মেকার’ মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু কংগ্রেসের কাছে টিকতে পারেনি কোনও দলই। খুবই খারাপ ফল হয় জেডিএসের। কংগ্রেসের বিশাল জয়ের আসল কারণ ছিল আঞ্চলিক দলটির ব্যর্থতা।
কিন্তু সম্প্রতি দেবগৌড়া ঘোষণা করেছিলেন লোকসভা ভোটে একাই লড়াই করবে জেডিএস। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আহ্বানে মত বদল করেছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। মোদির প্রতি বিশেষ সমর্থন রয়েছে দেবগৌড়ার। বিভিন্ন সময়ে একাধিক ইস্যুতে মোদিকে সমর্থন দিতে দেখা গিয়েছে দেবগৌড়াকে।
এদিকে, কেরলে বিজেপি কোনও আঞ্চলিক দলকে পাশে পায়নি। তামিলনাড়ুতে বিজেপির সহযোগী দল এআইএডিএমকে। জয়ললিতা মারা যাওয়ার পর থেকেই এই দলে গোলমাল চলছে। অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলেঙ্গানাতেও একই পরিস্থিতি। কোনও শক্তিশালী আঞ্চলিক দল বিজেপির পাশে নেই। এই অবস্থায় দক্ষিণে তারা একটি আঞ্চলিক দলকে পাশে চাইছিল। দেবগৌড়ার দলের সঙ্গে বোঝাপড়া বিজেপি অন্য রাজ্যেও তুলে ধরতে পারবে।