রায়গঞ্জ: রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির ৩১ নম্বর আসনে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন সংখ্যালঘু মোর্চার রায়গঞ্জ মণ্ডল সভাপতি রফিকুল আলম। তিনি ভোটে পরাজিত হতেই গ্রামের মানুষ তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে বয়কট করেছেন বলে অভিযোগ। তাঁর ওষুধের দোকানে কেউই আসছেন না, কথা পর্যন্ত বলছেন না। এ কথায় সামাজিক বয়কট করা হয়েছে বলে জানান। ফলে পরিবার নিয়ে বিপদে পড়েছেন তিনি।
পেশায় গ্রামীন চিকিৎসক রফিকুল আলম দীর্ঘদিন ধরে বিজেপি করেন। সংখ্যালঘু মোর্চার রায়গঞ্জ মণ্ডল সভাপতি। এবছর তিনি রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন। ১০৫৫ ভোট পেয়ে পরাজিত হন। তাঁর দাবি, ফলাফল বের হওয়ার পর থেকে গ্রামের মানুষ অন্যরকম ব্যবহার করছেন। দোকানে কেউ আসছেন না। কেউই কথা বলছেন না। আমার একটাই অন্যায়, আমি বিজেপির প্রার্থী হওয়ায় কেউ মেনে নিতে পারছে না। অঞ্চলে ৩ জন বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েত প্রার্থী জয়ী হওয়ায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে যথেষ্ট।
রফিকুলের আরও দাবি, নির্বাচনে কে কোন দলের প্রার্থী হবেন সেটা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। আমি বহুদিন ধরে বিজেপি করি। কারণ বিজেপির নীতি আদর্শ ভালো লাগে। ভোট হয়ে গেছে, এখন গ্রামের মানুষ এক সঙ্গে থাকব এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আতঙ্কের মধ্যে আছি। দোকান খুলতে পারছি না। বিষয়টি বিজেপির জেলা নেতৃত্বকে জানিয়েছি। যদিও এই সব অভিযোগ মানতে চাননি স্থানীয় তৃণমূল গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য রেজাউল হক। তিনি বলেন, ‘ওনাকে নিয়ে আমরা কখনও ভাবি না। তাই যেসব অভিযোগ করছেন সবটাই মনগড়া।‘ বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার বলেন, ‘আমাদের কাছে রফিকুল সাহেব অভিযোগ জানিয়েছেন। আমরা প্রশাসনকে আজই জানাবো।‘