চালসা: দ্রুত সামসিং বাগান খোলার দাবিতে মেটেলির বিডিওকে স্মারকলিপি দিল বিজেপি। বুধবার বিজেপি নেতৃত্ব সহ বাগানের শ্রমিকরা মিছিল করে মেটেলি বিডিও অফিসে যান। এরপর একটি প্রতিনিধি দল গিয়ে বিডিওকে স্মারকলিপি প্রদান করেন। মেটেলির বিডিও অভিনন্দন ঘোষ দাবির বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর আশ্বাস দেন।
উল্লেখ্য, সামসিং চা বাগানটির আগের মালিক ছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ প্রসন্ন কুমার রায়ের। শিক্ষক দুর্নীতির মিডিল ম্যানে অভিযুক্ত জন্য তিনি জেলে যান। তারপরেও এই বাগানটি কোনভাবে চলছিল। গত বছর পুজোর আগেই শ্রমিকদের বেতন ও বোনাস না দিয়ে ৪ অক্টোবর বন্ধ করে চলে যায় প্রসন্ন কুমার রায় মালিকানাধীন মালিকপক্ষ। বাগানে কাঁচা চা পাতা তোলার অনুমতির নোটিশ জারি করে বাগান বন্ধ করে দেন তিনি। তারপর থেকেই বাগানটি বন্ধ হয়েছিল। এরপর গত ২২ নভেম্বর ঋত্বিক ভট্টাচার্য নামে এক নতুন মালিককে দিয়ে চা বাগানটি খোলা হয়। বাগান খোলার পর তিনি কিছু শ্রমিকদের বোনাসের টাকাও প্রদান করেন। কিন্তু একসপ্তাহ কাজকর্ম করার পর সেই নতুন মালিকও শ্রমিকদের পাওনা গন্ডা না মিটিয়েই চা বাগান ছেড়ে চলে যান। এতেই বিপাকে পড়েন বাগানের প্রায় ১৩০০ শ্রমিক। এরপর থেকেই বাগানটি বন্ধ রয়েছে। গত ১৩ জানুয়ারি বাগানে এসে ফের শর্তসাপেক্ষে বাগান খোলার কথা ঘোষণা করেন প্রসন্ন কুমার রায়ের ভাই জয়ন্ত কুমার রায়। বাগান খোলার জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের তরফে সভাও করা হয় বাগানে। বাগানের পরিদর্শনে গিয়ে বাগান খোলার দাবি জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বারলা, বিমল গুরুংও।
এদিন স্মারকলিপি প্রদানের পর বিজেপির নাগরাকাটা বিধানসভার বিধায়ক পুনা ভেংরা বলেন, ‘বর্তমানে বাগানটি বন্ধ থাকার ফলে বাগানের শ্রমিকরা চরম সমস্যায় পড়েছে। সরকারি তরফেও বাগানের শ্রমিকদের কোনও সাহায্য করা হচ্ছে না। বাগানটি খোলার বিষয়ে রাজ্য সরকারের তরফেও কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছে না।‘ সামসিং বাগানের বিজেপির শ্রমিক নেতা সুভাষ সার্কি বলেন, ‘বাগান বন্ধ থাকার ফলে শ্রমিকদের খুবই সমস্যা হচ্ছে। শ্রমিকদের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গেছে। সরকারের তরফে কোনও সুযোগ সুবিধাও দেওয়া হচ্ছে না। দ্রুত বাগান খোলার বিষয়ে সরকার কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে আগামীতে বাগানের শ্রমিকদের নিয়ে চালসায় জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হবে।‘ অন্যদিকে, এদিন বিজেপির ঝান্ডা নিয়ে মিছিল মেটেলি বিডিও অফিসে গেলে পুলিশের তরফে বিডিও অফিসের গেটেই সেই মিছিলকে আটকে দেওয়া হয়।