উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ সিবিআই তলবে শনিবার কলকাতার নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে হবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এদিন সিবিআই নোটিস পাওয়ার পরই অভিষেক কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। এর পরই বাঁকুড়া থেকে নবজোয়ার কর্মসূচি থামিয়ে শুক্রবার রাতেই কলকাতায় ফিরছেন তিনি। সিবিআই-এর নোটিস পেয়ে অভিষেক বাঁকুড়া ছাড়তেই তাঁর নবজোয়ার কর্মসূচির হাল ধরলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন অভিষেকের জায়গায় ভার্চুয়ালি নবজোয়ার কর্মসূচির সভা করলেন মমতা।
ভার্চুয়ালি সভায় এদিন মমতা বলেন, “নোটিস পাওয়ার পর অভিষেকের সঙ্গে আমার তিনবার কথা হয়েছে। ওকে বললাম তুই সময় চেয়ে নে। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া সফর শেষ করে চলে আসতে পারিস। ও বলল না দিদি, আমি কালকেই যাব। ও আজ রাতে কলকাতা পৌঁছবে ১২টা-১টা নাগাদ। দু’টো দিন সময় দেবে না? দিন রাত ঘুমোতে পারছে না একটা ছেলে। পরিবার পরিজন ছেড়ে রাস্তায় পড়ে রয়েছে।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরও সংযোজন, “বিজেপি অভিষেককে ভয় পায়। নবজোয়ার কর্মসূচি দেখে ওদের ভাটা পড়ে গিয়েছে। এভাবে নবজোয়ার কর্মসূচি আটকানো যাবে না।”
কার্যত হুঁশিয়ারির সুরেই এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মানুষের কাজ করতে গেলে মানুষের পাশে থাকতে হবে। এটা অভিষেককে বলেছিলাম। আমিও জনসংযোগ করে এসেছি এভাবেই। আমি ওকে আশ্বাস দিয়ে বললাম, ভাবিস না তুই চলে আয়। তোর হয়ে আমি ভার্চুয়ালি মিটিং করে দেব। যদি কেউ ভেবে থাকে অভিষেককে আটকে দিয়ে মমতাকে আটকে দেওয়া যাবে, ভুল ভাবছেন। ওর মিটিং আমি করে দেব। জেনে রাখুন আমি ভয় পাই না। দরকার হলে জেলায় আমি যাব। দেখি কার কত শক্তি।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ওরা খুব ধমকায় চমকায়। ওরা ভাবে চোর অপবাদ দিয়ে বেরিয়ে যাবে। অভিষেক ২৫ দিন ধরে রাস্তায় আছে। আমি ওকে বললাম, তোর ছোট দু’টো বাচ্চা আছে, ঘরে বউ আছে, বাবা-মা বৃদ্ধ। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই ঝড় জলের মধ্যে থাকিস না। সাতদিনের জন্য এই কর্মসূচি বাতিল কর। কিন্তু, ও আমায় বলল, না দিদি আমি যখন দু’মাস করব বলেছি, তখন এই কর্মসূচি শেষ না করে আসব না।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “একদিন তো আমরা চলে যাব, নতুনদের তো নিয়ে আসতেই হবে। ও আমার আত্মীয় বলে বেশি সুবিধা পায় না। তৃণমূল কংগ্রেস পরিবার মানুষের আত্মীয়। বিজেপি নেতারা সারাক্ষণ ওর পিছনে লেগে আছে। আমরা বলেছি কোনও চিন্তা নেই এই নবজোয়ার কর্মসূচি আমরা সামলে নেব। আমরা বিজেপির কথায় মাথা নত করব না। তোমরা যা ইচ্ছে করো। তর্জন গর্জন দিয়ে আমাদের থামানো যাবে না। যতক্ষণ না পর্যন্ত বিজেপি-কে দিল্লির শাসন থেকে দূর করছি, ততদিন লড়াই সংগ্রাম থামছে না। চলছে চলবে।