কলকাতা: মঙ্গলবার এগরায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণকাণ্ডে মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। বুধবার বিস্ফোরণস্থল পরিদর্শনে যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কথা বলেন স্থানীয়দের সঙ্গে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী ও পুলিশকে তীব্র আক্রমণ করেন শুভেন্দু। প্রশ্ন তোলেন, আর্থিক সাহায্য নিয়েও। অভিযুক্ত কৃষ্ণপদ বাগের ভাই বাদে গ্রামের সবাইকে বিজেপির তরফে আর্থিক সাহায্যের আশ্বাস দেন শুভেন্দু। পাশাপাশি তিনি এও জানান, এনআইএ তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।
এদিন শুভেন্দু বলেন, ‘আমি এনআইএ তদন্তের দাবিতে আদালতে গিয়েছি। এর শেষ দেখব। পুলিশ তৃণমূলের দলদাসে পরিণত হয়েছে।’ সরকারে দেওয়া আর্থিক সাহায্যের বিরোধীতা করে শুভেন্দু জানান, ওই টাকা বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের। তৃণমূলের পার্টি অফিস থেকে এই টাকা দেওয়া হলে কেউ যেন না নেন, সেকথাও বলেন তিনি। এদিন শুভেন্দুকে পালটা দিয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী তাঁর তরফে যা করার তাই করেছেন। এনআইএ তদন্তে যে সমস্যা নেই, সেই অবস্থানওতো স্পষ্ট করেছেন তিনি। বিরোধী দলনেতা জনবিচ্ছিন্ন, তাই এসব করে প্রচারে আসতে চাইছেন।’
প্রসঙ্গত, গতকাল দুপুরে তীব্র বিস্ফোরণ হয় পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুলে। এলাকার একটি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরে এলাকার রাস্তায় ছিন্নভিন্ন দেহ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। বিস্ফোরণের জেরে বাজি কারখানাটি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। অনেকেরই অনুমান, ওই কারখানায় বাজি তৈরির আড়ালে বোমা তৈরি হত। সেখান থেকেই এই বিস্ফোরণ ঘটেছে।
এদিন এগরায় পৌঁছে বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত কারখানার ছাদ থেকে গোটা এলাকা পরিদর্শন করেন শুভেন্দু। এরপর চলে যান, কারখানার ২০০ মিটার দূরে জনবসতিপূর্ণ এলাকায়। তাঁকে কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন স্থানীয়রা। সেখান থেকে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দাগেন বিরোধী দলনেতা। কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন পুলিশকেও।