মেখলিগঞ্জ: আর দশটা সীমান্ত এলাকার থেকে মেখলিগঞ্জ ব্লকের কুচলিবাড়ি এলাকা থেকে একটু বেশিই পাচারের অভিযোগ ওঠে। কাঁটাতারের বেড়ার ওপর দিয়ে ঢিল ছুড়ে যেমন বিভিন্ন সামগ্রী পাচার করা হয়, তেমনি এই এলাকা থেকে কাঁটাতারের বেড়া কাটারও বিস্তর অভিযোগ ওঠে। সীমান্তের নিরাপত্তা জোরদার করতে বেশ কিছু জায়গায় আগে থেকেই সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। এছাড়াও কয়েকটি জায়গায় ড্রোন নাইট ভিশন ক্যামেরার সাহায্যেও নজরদারি চালাচ্ছে বিএসএফ। এবার সিসি ক্যামেরার সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি নতুন ‘অদৃশ্য আলো’ ব্যবহার করে নজরদারি চালাবে বিএসএফ।
কিন্তু কি সেই অদৃশ্য আলো? নিরাপত্তারক্ষীদের ভাষায় সেই অদৃশ্য আলোর নাম ‘ইনফ্রারেড ইনট্রুডার অ্যালার্ম’ সিস্টেম। এই সিস্টেম থেকে এক ধরনের লেসার আলো প্রতিফলিত হয়। যা খালি চোখে অতটা বোঝা যায় না। তবে সেই আলোর মাঝে নতুন কোনও বস্তু বা মানুষ বা যে কোনও প্রাণী এলে বা সেই আলোর বিচ্ছুরণ কোনওভাবে বাধাপ্রাপ্ত হলে বিএসএফ আউটপোস্টে অটোম্যাটিক অ্যালার্ম বেজে উঠবে। নির্দিষ্ট কোন জায়গায় আলো বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে তাও জানা যাবে। এতে সহজেই লোকেশন বোঝা যাবে। এরপরই সেখানকার কর্তব্যরত বিএসএফ জওয়ানদের ওয়্যারলেস মারফত জানিয়ে দেওয়া হবে। বিএসএফের জলপাইগুড়ি সেক্টরের ডিআইজি ব্রিগেডিয়ার বিজয় মেহতা বলেন, ‘স্পর্শকাতর এলাকাগুলোতে নজরদারি চালাতে এই বিশেষ সিস্টেম চালু করা হয়েছে। সাফল্যও মিলছে যথেষ্ট।’
বিএসএফের জলপাইগুড়ি সেক্টরের ৪০ নম্বর ব্যাটালিয়নের আওতাধীন কুচলিবাড়ি পঞ্চায়েতের কলসিপাড়া, বিআরকে বাড়ি সহ কয়েক কিলোমিটার সীমান্ত এলাকায় এই সিস্টেম চালু করা হয়েছে। সিসি ক্যামেরার সঙ্গেই নির্দিষ্ট দূর অন্তর বসানো হয়েছে সেই সিস্টেম। বিএসএফ সূত্রে খবর, এতদিন সিসিটিভি বা ড্রোন ক্যামেরায় অপরাধীরা ক্যামেরাবন্দি হলেও বিএসএফের পক্ষে তাদের ধরে ফেলা সহজ হত না। এই সিস্টেম চালু হলে পাচারকারীদের সহজেই ধরা যাবে।
মোটামুটিভাবে কুচলিবাড়ির প্রায় ১৭-১৮ কিমি এলাকা সিসি ক্যামেরা ও এই নতুন সিস্টেমে মুড়ে ফেলা হয়েছে। বাকি এলাকাতেও আরও বেশি করে সিসি ক্যামেরা ও অদৃশ্য আলোর যন্ত্র বসানো হবে বলে বিএসএফের স্থানীয় আধিকারিকদের সূত্রে জানা গিয়েছে।