কলকাতা: পুরসভায় নিয়োগে দুর্নীতিকাণ্ডে রাজ্যজুড়ে তল্লাশি সিবিআইয়ের। বুধবার সকালে তদন্তকারীদের একটি দল হাজির হয়েছে ধৃত অয়ন শীলের বাড়িতেও। এদিন নিজাম প্যালেস থেকে বের হয় সিবিআই আধিকারিকদের বেশ কয়েকটি দল। তাঁরা হানা দেন সল্টলেকের পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর, চুঁচুড়া, শান্তিপুর, নিউ বারাকপুর, টিটাগড়, পানিহাটি ও দক্ষিণ দমদম পুরসভা সহ বেশ কয়েকটি জায়গায়। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলছে ম্যারাথন তল্লাশি। বহু নথি খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। পুরসভাগুলির অন্তর্গত বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন সিবিআই আধিকারিকরা। সঙ্গে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। জানা গিয়েছে, মূলত নথি খতিয়ে দেখতেই রাজ্যজুড়ে এই তল্লাশি চলছে।
প্রসঙ্গত, শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতির তদন্তে নেমে পুর-নিয়োগেও দুর্নীতির হদিস মেলে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অয়ন শীলকে গ্রেপ্তার করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সেই সময়েই ইডির তরফে দাবি করা হয়, অয়নের সল্টলেকের অফিসে তল্লাশি চালিয়ে রাজ্যের একাধিক পুরসভার বিভিন্ন পদে চাকরিপ্রার্থীদের ওএমআর শিট পাওয়া গিয়েছে। সূত্রের খবর, অয়নের সংস্থা একাধিক পুরসভার নিয়োগ পরীক্ষার ওএমআর শিট পরীক্ষার দায়িত্বে ছিল। সেই সুযোগেই টাকার পরিবর্তে রাজ্যের একাধিক পুরসভায় বেআইনিভাবে লোকজনকে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে উঠলে তিনি পুর মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। যদিও পুর দুর্নীতির মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ দেওয়ার এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তোলে রাজ্য৷ মামলা সুপ্রিম কোর্টে যায়৷ পরে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে এই মামলা সরে যায় বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে। তিনিও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ বহাল রাখেন। বুধবার সেই নিয়োগ কাণ্ডেই এই তল্লাশি৷ দুর্নীতির গোড়ায় পৌঁছোতে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। যদিও এই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম গোটা বিষয়টিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত কাজ বলে দাবি করেছেন৷ তাঁর বক্তব্য, ‘যা হচ্ছে পুরোটাই রাজনৈতিক কারণে হচ্ছে৷ আমরাও বিষয়টি খতিয়ে দেখেছি৷’