জামালদহ: ক্লাস চলাকালীন খুলে পড়ল সিলিং ফ্যান। আর সেই সিলিং ফ্যানের আঘাতে আহত হল দুই ছাত্রী। বুধবার এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল মেখলিগঞ্জ ব্লকের উছলপুকুরি এলাকায়। ঘটনায় প্রধান শিক্ষকের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। স্কুলের ছাত্র সোমনাথ বর্মন সহ আরও অনেকের অভিযোগ, ওই ফ্যান বিপজ্জনক অবস্থায় ছিল। সেটা বিকট শব্দ করত। প্রধান শিক্ষককে বিষয়টি জানানো হয়েছিল। তিনি কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুশান্ত কুমার দে-র সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও, সেটা সম্ভব হয়নি। তিনি ফোনও তোলেননি।
উছলপুকুরি এলাকায় এই উছলপুকুরি কৃষক উদ্যোগ হাইস্কুল। এই বিদ্যালয়ে মোট ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ২২০০। এদিন সেই বিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণিকক্ষে থাকা একটি সিলিং ফ্যান ক্লাস চলাকালীন খুলে পড়ে। সেটি গিয়ে পড়ে দুই ছাত্রীর মাথায়। ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হয়ে বর্তমানে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী কথিকা বর্মন। তাঁর মাথায় গুরুতর চোট লেগেছে। আর এক ছাত্রী বর্ণালী রায়ের মুখে ফ্যানের ব্লেডের আঘাত লেগে কেটে গিয়েছে। দুইজনকেই স্কুল কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি নিয়ে আসে জামালদহ প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখানে বর্ণালী রায়কে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হলেও, কথিকা বর্মন এখনও চিকিৎসাধীন।
বর্ণালী রায় বলেন, ‘ক্লাস চলাকালীন হঠাৎ করে সিলিং ফ্যান খুলে পড়ে।‘ কথিকা বর্মনের বাবা কালীমন বর্মন স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ জানান। তিনি বলেন, ‘স্কুল থেকে যদি সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হত, তবে এতবড় দুর্ঘটনা ঘটত না। আমার মেয়ের ওর মাথায় সিটি স্ক্যান করা হয়েছে। প্রচন্ড যন্ত্রণায় ছটফট করছে সে।‘ খবর পেয়ে জামালদহ প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আহত ছাত্রীদের দেখতে আসেন বিদ্যালয়ের পরিচালন কমিটির সভাপতি বাবলু হোসেন। তিনি বলেন, ‘স্কুল থেকে খবরটি জানতে পেরে আহত দুই ছাত্রীকে দেখতে এসেছি। এটা নেহাতই দুর্ঘটনা। তবে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা সেই বিপজ্জনক ফ্যানের বিষয়ে কিছু জানায়নি।‘