চ্যাংরাবান্ধা: চ্যাংরাবান্ধা বাইপাস থেকে সোজা পথে চ্যাংরাবান্ধার ভেতরে প্রবেশ করতেই রেলওয়ে ওভারব্রীজ এলাকা থেকে বিবেকানন্দ পাড়া শুরু হয়ে যায়। পাড়ার মাঝখান দিয়ে এশিয়ান হাইওয়ে দুইভাগে ভাগ করেছে পাড়াকে। আর দুপাশের সারিবদ্ধ বাড়িগুলোর পেছনে একদিকে চ্যাংরাবান্ধা শিলিগুড়ির রেলপথ অন্যদিকে কুলকুল শব্দে বয়ে চলেছে ধরলা নদী। এক দুই করে চলতে চলতে এই চ্যাংরাবান্ধা বিবেকানন্দ পাড়ার সার্বজনীন দুর্গোৎসব এবার ৪৯তম বর্ষ অর্থাৎ একদম সুবর্ণ জয়ন্তীর দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে।
পাড়ার প্রবীণ বাসিন্দা সুবল চন্দ্র ঘোষ বলেন, ‘চ্যাংরাবান্ধার সবচেয়ে পুরোনো পুজো হল চ্যাংরাবান্ধা জুনিয়র বেসিক স্কুলের পুজো। এরপর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির দুর্গা মণ্ডপের পুজো। তবে পাড়ার পুজো বলতে চ্যাংরাবান্ধার প্রথম চ্যাংরাবান্ধা বিবেকানন্দ পাড়ার সার্বজনীন দুর্গোৎসব।‘
বহু বছর আগে এই পাড়ার বাসিন্দাদের মধ্যে ফনীন্দ্রনাথ গুহ, জ্ঞানেন্দ্রনাথ ঘোষ, বাসুদেব সরকার, দীনবন্ধু মুন্সী, জগদীশ চন্দ্র চক্রবর্তী, রাখালচন্দ্র সাহা প্রমুখেরা এই পুজো শুরু করেছিলেন। সেইসময় পুরো পাড়া ছাড়াও তাদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছিলেন তৎকালীন চ্যাংরাবান্ধায় কর্মরত ক্ষুদ্র সেচ দপ্তরের কর্মী প্রভাত বোস ও ওনার স্ত্রী। ওনার স্ত্রীর বিশেষ সক্রিয় ভূমিকা ছিল এই পুজোর পেছনে। এছাড়াও সেই সময়কার মেখলীগঞ্জ ব্লকের শিল্প সম্প্রসারন আধিকারিক আদি বোস নানাভাবে এই পুজোতে সাহায্য করেছিলেন। পরবর্তীতে মাঝে দুই তিন বছরে নানান ঝামেলায় পুজো হয়নি। কিন্তু এরপর ১৯৭৪ সালে আবার পুজো শুরু হয়।
পুজো কমিটির সভাপতি বিশ্বজিৎ যাদব(ডাব্বু) বলেন, ‘এবারে আমরা কাল্পনিক মন্দিরের আদলে পুজো প্যান্ডেল তৈরি করছি। মণ্ডপে ত্রিদেব অর্থাৎ ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বরের সঙ্গে মা দুর্গা রয়েছেন সদলবলে। আমাদের পুজোতে যে রীতি দীর্ঘকাল থেকে চলে আসছে তা হল, অষ্টমীর দিন মায়ের ভোগ সারা পাড়ার সমস্ত বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়। আর নবমীতে সারা পাড়ার সকলে মিলে মণ্ডপ চত্বরে মহাভোজের আয়োজন থাকে।‘