উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ কুনোর জঙ্গলে (Kuno National Park)ফের মৃত্যু চিতার (Cheetah dies in Kuno forest)। মঙ্গলবার বিকেলে শৌর্য নামে চিতাটির মৃত্যু হয় মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) কুনো ন্যাশনাল পার্কে। এই বুনো বেশ কয়েকদিন ধরে অসুস্থ ছিল বলে খবর। শৌর্যের মৃত্যুর খবরের সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন কুনো ন্যাশনাল পার্ক কর্তৃপক্ষ। অসুস্থতার কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের পরই জানা যাবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে নামিবিয়া (Namibia) থেকে ভারতে আনা হয় ৮টি চিতা। ১৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী মোদির ৭২ তম জন্মদিনে চিতাগুলিকে ছাড়া হয় মধ্যপ্রদেশের কুনো ন্যাশনাল পার্কে। এদের মধ্যে তিনটি পুরুষ চিতা এবং পাঁচটি স্ত্রী চিতা ছিল। পরে তাদের তিনটি সন্তানও হয়। এ পর্যন্ত, এই জাতীয় উদ্যানে সাতটি প্রাপ্তবয়স্ক চিতা এবং তিনটি শাবকের মৃত্যু হল। পরে আরও ১২টি চিতা আনা হয় দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে। এর আগে গত বছরের ২ অগাস্ট চিতা মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল এই ন্যাশনাল পার্কে। অতীতে প্রতিটি মৃত্যুর ক্ষেত্রেই সংক্রমণকে দায়ী করা হয়েছিল। ঘন ঘন চিতা মৃত্যুর ঘটনায় সংরক্ষণের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল সংসদেও।
জানা গিয়েছে, ১৯৫২ সালে ভারতের জঙ্গলে চিতার বিলুপ্তির কথা ঘোষণা করা হয়। চিতা বিলুপ্তির ৭০ বছর পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্যোগে বায়ুসেনার বিশেষ কার্গো কপ্টার ‘চিনুক’ করে নামিবিয়া থেকে প্রথমে ৮টি চিতা আনা হয়। পরে আরও ১২টি চিতা আনা হয় দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে। এরপর থেকে এই কুনোর জঙ্গলে একের পর এক চিতার মৃত্যু হতেই ভারতে চিতা সংরক্ষণের উদ্যোগের প্রথম থেকেই সমালোচনা শুরু করেন পশুপ্রেমীরা। পশুপ্রেমীদের মতে, নতুন পরিবেশের সঙ্গে নামিবিয়ার চিতার মানিয়ে নিতে অসুবিধা হবে। আর সেকারণেই মৃত্যু হচ্ছে একের পর এক চিতার। আগেই মৃত্যু হয়েছিল তিনটি শাবক এবং ৬টি চিতার। এবার আরও একটি পূর্ণ বয়স্ক চিতার মৃত্যু হল। স্বভাবতই, পুরো ঘটনায় ফের পরিবেশপ্রেমীদের প্রশ্নের মুখে মোদি সরকার।