চোপড়া: দোলের বাজার ধরতে ভেষজ আবির তৈরিতে লেগে পড়েছেন চোপড়া (Chopra) ব্লকের সোনাপুর (Sonapur) পঞ্চায়েতের ধন্দুগছের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। তাঁদের তৈরি আবির চোপড়া, ইসলামপুর তো বটেই, নকশালবাড়ি, শিলিগুড়ি, কোচবিহার পর্যন্ত পাঠানো হয়। এমনকি হোম ডেলিভারিরও ব্যবস্থা রয়েছে বলে জানালেন অঞ্জলি বোস দাস নামে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর এক মহিলা। অন্যদিকে, বিভিন্ন রংয়ের ভেষজ আবির তৈরি করা গেলেও সবুজ রংয়ের আবির তৈরিতে বেশ সমস্যায় পড়েছেন মহিলারা।
ভেষজ আবির তৈরিতে গাঁদা ফুল, হলুদ, বিট, গোলাপ, পলাশ ও সিঁদুরি ফল ব্যবহার করা হয়। তারপর সেই আবির হালকা রোদে শুকোনোর পর প্যাকেটজাত করা হয়। প্যাকেটে উত্তর দিনাজপুর কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রের লেবেল সাঁটানো হচ্ছে। উত্তর দিনাজপুর কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রের বিশেষজ্ঞ ডঃ অঞ্জলি শর্মা জানান, ইতিমধ্যে এলাকার কয়েকটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলা দলকে অন্যান্য কাজের পাশাপাশি ভেষজ আবির তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে ধন্দুগছের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা প্রতিবার ভেষজ আবির তৈরি করেন। এ ধরনের আবির ব্যবহারে চামড়া, চোখ বা শরীরে কোনও রকম ক্ষতির আশঙ্কা নেই। ইদানীং ভেষজ আবিরের চাহিদাও সর্বত্রই বাড়ছে বলে তিনি জানান।
শ্রীময়ী বিশ্বাস, অণিমা মজুমদার, সোমা মণ্ডল দাস, রিতা দাসরা সারাবছর মাশরুম চাষ, মাশরুমের খাদ্যসামগ্রী তৈরি কিংবা জৈব সার উৎপাদন সহ কোনও না কোনও কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকেন। আর প্রতিবার দোলের আগে তাঁরা ভেষজ আবির তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
অন্যদিকে, ভোটের (Vote) সময় সবুজ রংয়ের ভেষজ আবিরের চাহিদা বাড়লেও সরবরাহ করতে পারছেন না বলে আক্ষেপ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের। তাঁদের কথায়, হলুদ, বিট সহ অন্যান্য ফল মিশিয়ে হলুদ, গোলাপি ও গেরুয়া বা কমলা রংয়ের ভেষজ আবির তৈরি করা গেলেও কোনওভাবে সবুজ রংয়ের আবির তৈরি করা যাচ্ছে না। সবুজ রংয়ের ভেষজ আবির তৈরি করা যে সম্ভব হচ্ছে না মানছেন বিশেষজ্ঞরাও। কৃষি বিশেষজ্ঞ ডঃ শর্মার কথায়, ভেষজ আবিরে সবুজ রং আনা এখনও সম্ভব হচ্ছে না। তবে রাসায়নিকমুক্ত সবুজ ভেষজ আবির তৈরির চেষ্টা তাঁরা করছেন বলে জানিয়েছেন।