জলপাইগুড়ি ও মালবাজার: শিবরাত্রিতে বাবার মাথায় জল ঢালবেন না এমন ভক্ত পাওয়া দুষ্কর। আর বাবাকে তুষ্ট করতে অর্পণ করতে হবে তাঁর পছন্দের কিছু ফুল-পাতা। বিক্রেতাদের উপর ভগবানের আশীর্বাদ যে সবার আগে পড়ে, তার প্রমাণ সব পুজোর আগেই দেখা যায়। শিবের ক্ষেত্রেও তাই। শিবচতুর্দশীর আগের জলপাইগুড়ি শহরের বাজারগুলিতে ফুল-ফল কিনতে ভিড় হল। দামের আঁচ থাকলেও, ভক্তির আঁচের কাছে তা যেন কিছুই নয়।
জলপাইগুড়ির দিনবাজার, স্টেশন বাজার সহ বিভিন্ন বাজারে বেল ১০-১৫ টাকা, বেলপাতা একমুঠো ১০ টাকা। গাঁদা ফুলের মালা ৪০-৪৫ টাকা, তিন-চারটি ধুতরো ফুল ১০ টাকা, আকন্দ ফুলের মালা ২৫-৩০ টাকা। ক্রেতা মাধবী দেব রায়ের কথায়, ‘বাবার নিত্যপুজো চলে৷ কিন্তু শিবরাত্রিতে বিশেষভাবে পুজো করতেই হয়। এবার নতুন চাকরি হয়েছে। দামের পরোয়া না করে সব কিনে নিলাম।’
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার মাল শহরের সাপ্তাহিক বাজার বন্ধের দিনও শিবপুজোর জন্য অস্থায়ী দোকান সাজিয়েছিলেন অনেকেই। বেলপাতা, ধুতরো ফুলের পাশাপাশি আকন্দ ফুল, বাসকপাতা সহ নানা সামগ্রী মজুত ছিল। তবে বাসিন্দাদের অনেকেরই আক্ষেপ, একসময় এসব ফুল-পাতা কেনার দরকার পড়ত না। রাস্তার ধারে, বাড়ির উঠোনে, পরিত্যক্ত জমিতে গাছ মিলত। শহরায়ণের জেরে সেসব গাছ আজ উধাও। কিনতে হচ্ছে চড়া দামে।
শহরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা অপর্ণা শীল বলেন, এখন আর এলাকায় সেভাবে ফল-ফুল পাই না। বাজারের উপরেই নির্ভর করে থাকি। শুক্রবার রাতে পুজো করব। কোনও ক্রমে ধুতরো ফুল, বেলপাতা জোগাড় করেছি। এদিকে, শহরের শিব মন্দিরগুলোতে পুজোর প্রস্তুতি শেষ। শহর লাগোয়া ভাঙা পাহাড়ের মন্দিরেও পুজো হবে।