উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: শনিবার ‘ইন্ডিয়া’ (INDIA) জোটের বিভিন্ন দলের শীর্ষ নেৃতৃত্বকে নিয়ে বৈঠক ডেকেছে কংগ্রেস (Congress)। কিন্তু এই বৈঠক ঘিরে কি খানিকটা ঠান্ডা লড়াই শুরু হল কংগ্রেস-তৃণমূলের মধ্যে? কারণ বৈঠকে উপস্থিত থাকছেন না পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Cm Mamata Banerjee)। তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের বক্তব্য, শেষ মুহূর্তে এই বৈঠকের বিষয়ে তাঁদের জানানো হয়েছে। নির্দিষ্ট করে কোনও আলোচ্যসূচিও দেওয়া হয়নি।
সূত্রের খবর, এদিন সকাল সাড়ে ১১টায় ভার্চুয়াল বৈঠক হবে বলে জানিয়ে শুক্রবার বিকেলে কংগ্রেসের তরফে শরিক দলগুলির নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। একেবারে শেষ মুহূর্তে কোনও পূর্ব আলোচনা ছাড়াই বৈঠকের আমন্ত্রণ পেলেও তৃণমূলের (Trinamool) তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছু পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচিতে ব্যস্ততার কারণে মিটিংয়ে উপস্থিত থাকতে পারছেন না। আগামী সপ্তাহে শরিক দলগুলির সুপ্রিমোদের সঙ্গে আলোচনা করে সবার সুবিধামতো একটি বিকল্প দিনে বৈঠক করার কথা বলা হয়। যদিও কংগ্রেস এই অনুরোধে সায় দেয়নি বলে জানা গিয়েছে। ফলে পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী এদিন সকাল সাড়ে ১১টায় বৈঠক হতে চলেছে। গতকাল রাতে কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র জয়রাম রমেশ বিবৃতি দিয়ে জানান, ‘ইন্ডিয়ার জোটভুক্ত দলগুলি ভিডিও বৈঠকে বসে সদ্য শুরু হওয়া আসন রফা, ইম্ফল থেকে রবিবার শুরু হওয়া ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি খতিয়ে দেখবেন।’
এনিয়ে রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, গোটা ঘটনায় ‘ইন্ডিয়া’ জোটের মধ্যে বেসুর স্পষ্ট। তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য প্রকাশ্যে পালটা আক্রমণের পথে হাঁটেননি। তাঁরা এই বার্তাই দিতে চাইছেন, তৃণমূল জোটবদ্ধ হয়ে লড়াইয়ে আন্তরিক। দলের এক প্রবীণ নেতা বলেন, ‘এখন কংগ্রেস হাইকম্যান্ড প্রকাশ্যে কী বার্তা দেন, তার ভিত্তিতেই আমরা মন্তব্য করব।’
প্রসঙ্গত, শুধু মমতাই নন, এই বৈঠকে যোগ নাও দিতে পারেন আরও একজন নেতা, এমনটাই খবর তৃণমূল সূত্রে। কংগ্রেসের তরফে যাঁদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, তাঁদের মধ্যে মমতা ছাড়াও রয়েছেন জেডিইউ’র নীতীশ কুমার, আরজেডি’র তেজস্বী যাদব, ডিএমকে’র স্ট্যালিন, আপের অরবিন্দ কেজরিওয়াল, শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে, সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরি, সিপিআই’র ডি রাজা, এনসি’র ওমর আবদুল্লার মতো ১৪টি দলের শীর্ষ নেতা। কংগ্রেসের তরফে থাকবেন রাহুল গান্ধি (Rahul Gandhi) এবং মল্লিকার্জুন খাড়গে (Mallikarjun Kharge)।