রায়গঞ্জ: কলেজ ছাত্রকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠল সৎ মা ও বাবার বিরুদ্ধে। বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে ইটাহার থানার সুরুন গ্রামে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম আরমান রহমান(১৮)। বাড়ি ইটাহার থানার সুরুন গ্রামে। ওই যুবক ইটাহার মেঘনাথ সাহা কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিল। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়। এদিন বিকেলে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেয় ইটাহার থানার পুলিশ।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন বছর ধরে সৎ মা আয়েশা খাতুন ও বাবা আসাদুল রহমান ও মানসিকভাবে নির্যাতন করত ছেলেকে। দিন সাতেক আগে তাঁকে মারধর করা হয়। এরপর গতকাল পূর্বপরিকল্পিতভাবে ওই যুবককে শ্বাসরোধ করে ফাঁস দিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। গ্রামেরই বাসিন্দারা এদিন দুপুরে যুবকের দাদু নজরুল ইসলামকে ফোন করলে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন তার নাতির শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষতের চিহ্ন। এরপর ইটাহার থানায় সৎ মা, বাবা সহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ইটাহার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নজরুল ইসলাম।
এই প্রসঙ্গে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার মেয়ে পারভীন খাতুন জামাইয়ের অত্যাচারের জন্যই মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে। তারপর থেকেই মেয়ের শারীরিক চিকিৎসা না করিয়ে বাড়িতে ফেলে রাখার দরুন মৃত্যু হয়। যদিও আমাদের সন্দেহ ছিল আমার মেয়েকে খুন করা হয়েছে। কিন্তু একমাত্র নাতির মুখের দিকে তাকিয়ে আমরা মামলা করিনি। ফের আমার নাতির সঙ্গেও এই ধরনের ঘটনা ঘটাল। আমি এর শেষ দেখে ছাড়বো। এই ঘটনায় আমি জামাই সহ ছয় জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। আমি অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। ইটাহার থানার পুলিশ আধিকারিক বলেন, অভিযোগ দায়ের হয়েছে অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। পাশাপাশি ইটাহার থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলার রুজু হয়েছে।