বক্সিরহাট: অসমের ইট রাজ্যের সীমানায় ঢুকতে বাধা দিচ্ছে পুলিশ। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রতিটি গাড়ি থেকে নামিয়ে রাখা হয় কিছু ইট। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ তুলে শুক্রবার কোচবিহারের (Cooch Behar) বক্সিরহাটের অসম-বাংলা সীমানা লাগোয়া জাতীয় সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনে (Protest) শামিল হলেন অসমের ইট ব্যবসায়ীরা। ‘পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের দাদাগিরি চলবে না’ বলেও শুক্রবার স্লোগান তোলেন আন্দোলনকারীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বক্সিরহাট থানার পুলিশ (Bakshirhat Police)। সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত চলে অবরোধ। অবরোধের জেরে এদিন অসংখ্য লরি জাতীয় সড়কে দাঁড়িয়ে পড়ে। ফলে যানজটের সৃষ্টি হয় এলাকায়।
অসমের ইট ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বৈধ অনুমতিপত্র নিয়ে অসমের (Assam) দিক থেকে বাংলার দিকে আসার মুখে ইট বোঝাই লরি আটকে চালকদের হয়রানি করছে বক্সিরহাট ও তুফানগঞ্জ থানার পুলিশ৷ অভিযোগ, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে লরি প্রতি কিছু ইট নামিয়ে রাখা হচ্ছে। আবার কখনও সেই লরিকে ঘন্টা তিনেক দাঁড় করিয়ে ফের অসমের দিকে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। শুধুমাত্র অসমের হাতে গোনা কিছু ভাটার ইটের লরি বাংলার দিকে আসার অনুমতি রয়েছে। সেই ইটভাটা মালিকদের সঙ্গে পুলিশের যোগসাজশ রয়েছে বলে অভিযোগ তাঁদের। এনিয়ে অসম-বাংলা সীমানায় কর্তব্যরত পুলিশদের সঙ্গে বারংবার আলোচনা করা হলেও সমস্যা মেটেনি। বাংলায় ইট প্রবেশ নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে তোলাবাজি ও হয়রানির অভিযোগ তুলে এদিন বিক্ষোভে ফেটে পড়েন ইট ব্যবসায়ীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে অসম-বাংলা সীমানায় মোতায়েন ছিল বক্সিরহাট থানার বাড়তি পুলিশ৷ যদিও শেষ পর্যন্ত পুলিশের তরফে আশ্বস্ত করা হলে অবরোধ তুলে নেন বিক্ষোভকারীরা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, অসমে ইট তৈরির খরচ কম। বাংলায় বৈধ কয়লা দিয়ে ইটভাটা চালাতে গিয়ে খরচ পড়ছে অনেক বেশি। ফলে এ রাজ্যের এক একটি ইটের তুলনায় অসমের ইটের দাম কম। তাই এ রাজ্যে অসমের ইটের চাহিদা রয়েছে। এ বিষয়ে এসডিপিও বৈভব বাংগার জানান, যাঁদের ইট পরিবহণের বৈধ নথিপত্র নেই শুধুমাত্র তাঁদেরকেই আটক করা হয়। তবে পুলিশের বিরুদ্ধে এসব ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হচ্ছে।