কোচবিহার: মুর্শিদাবাদ, বাঁকুড়ার পর এবার কোচবিহার। ৩১ জন প্রাথমিক শিক্ষককে তলব করল সিবিআই। বৃহস্পতিবার সমস্ত নথি নিয়ে নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে বলা হয় তাঁদের। জানা গিয়েছে, কোচবিহারের এই ৩১ জন শিক্ষক ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় বসেছিলেন। এরপর ২০১৭ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে দফায় দফায় তাঁদের চাকরি হয়। হাইকোর্টের নির্দেশে একবার তাঁরা চাকরি হারান। তবে সুপ্রিম কোর্ট স্থগিতাদেশ দেওয়ায় ফের চাকরি ফিরে পান তাঁরা। এখন প্রশ্ন উঠছে, এই চাকরিগুলি টাকার বিনিময়ে হয়েছে কিংবা অন্য কোনও গলদ রয়েছে কিনা?। এদিন সিবিআই দপ্তরে প্রত্যেক শিক্ষককে মাধ্যমিক থেকে শুরু করে চাকরি পাওয়া পর্যন্ত সমস্ত নথি নিয়ে হাজিরা দিতে বলা হয়। এমনকি, শিক্ষকদের বয়ান রেকর্ড করাও হবে বলেও সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রথম গ্রেপ্তার করা হয় মুর্শিদাবাদের ৪ ‘অযোগ্য’ শিক্ষককে। আলিপুর বিশেষ সিবিআই আদালতের নির্দেশে গ্রেপ্তার করা হয় তাঁদের। ঘুষ দিয়ে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তাঁদের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, সিবিআইয়ের চার্জশিটে সাক্ষী হিসাবে নাম ছিল গ্রেপ্তার হওয়া এই চার ‘অযোগ্য’ শিক্ষকের। টাকা দিয়ে যাঁরা চাকরি কিনেছেন, তাঁদের কেন সাক্ষী হিসাবে দেখানো হয়েছে, এনিয়ে প্রশ্ন তুলে ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন বিচারক। এনিয়ে তদন্তকারী অফিসারকে শোকজও করা হয়। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী আগামী ২১ অগাস্ট পর্যন্ত জেল হেপাজতে থাকতে হবে তাঁদের। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এর আগে নেতা-মন্ত্রীরা গ্রেপ্তার হয়েছেন। এই প্রথম ‘অযোগ্য’ শিক্ষকদের গ্রেপ্তার করা হয়। মুর্শিদাবাদের পর বাঁকুড়ার ৭ প্রাথমিক শিক্ষককে তলব করে সিবিআই। বুধবার তাঁদের নিজাম প্যালেসে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এবার তলব করা হল কোচবিহারের ৩১ জনকে। কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছিল টাকার বিনিময়ে রাজ্যের কোথায়-কোথায় চাকরি চুরি হয়েছে তা খুঁজে বের করতে। অগাস্টের মধ্যে সেই রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে। সেইমতো রাজ্যজুড়ে খোঁজ চালাচ্ছে তদন্তকারী সংস্থা।