বালুরঘাট: তথ্যপ্রমাণ না থাকায় বেকসুর খালাস হলেন বিজেপি নেতা(BJP Leader)। এক আদিবাসী নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল দক্ষিণ দিনাজপুরের কেশবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্য শান্তনু চৌধুরীর বিরুদ্ধে। ঘটনার অভিযোগ দায়ের করা হয় পতিরাম থানায়। অভিযোগ পেয়ে শান্তনু চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অবশেষে কোনও প্রমাণ না থাকায় বিজেপি নেতাকে বেকসুর খালাস করে দিল আদালত। শুক্রবার দুপুরে বালুরঘাটে(Balurghat) বিজেপির জেলা কার্যালয়ে শান্তনু চৌধুরীকে সংবর্ধনা দেয় বিজেপি নেতৃত্ব৷ যেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার সহ অন্যান্য বিজেপি নেতা-কর্মীরা। আদালতের রায় শান্তনু চৌধুরীর পক্ষে যেতেই বিজেপি তীব্র আক্রমণ করে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে। তাদের দাবি, শান্তুনু চৌধুরী দু’বারের জয়ী পঞ্চায়েত সদস্য। পাশাপাশি তিনি বটুন গ্রামপঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা। তাই তাঁকে তৃণমূল(TMC) মিথ্যে ধর্ষণের মামলায় ফাঁসিয়েছিল। শান্তনুবাবুও একই সুরে জানান, তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে তাঁকে ফাঁসিয়েছিল তৃণমূল।
গত বছরের অক্টোবর মাসে দায়ের করা ওই মামলায় জেল হেপাজতেও ছিলেন ওই বিজেপি নেতা। যা নিয়ে জেলার রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে যায়। তৃণমূলের তরফেও এই ইস্যুতে লাগাতার বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়। সেই মামলাতেই বৃহস্পতিবার রায় দিয়েছেন আদালত। আর এই রায় ঘিরেই ফের নতুন করে শোরগোল পড়েছে জেলায়৷ যদিও বা তৃণমূলের সহ সভাপতি সুভাষ চাকির দাবি, এই মামলায় তাদের কোনও হাত ছিল না।