চালসা: সিপিএমের মিছিলে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। হামলায় উভয় পক্ষে প্রায় ২০ জন কর্মী সমর্থক জখম হয়েছেন। এলাকায় থমথমে পরিবেশ। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনার পর এলাকায় রুট মার্চ করে কেন্দ্রীয় বাহিনী। যদিও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। রবিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে মেটেলি ব্লকের বিধাননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ডাঙ্গাপাড়া এলাকায়।
জানা গিয়েছে, এদিন এলাকার তিনটি বুথের কর্মী সমর্থকদের নিয়ে সিপিএমের একটি ভোট প্রচারের মিছিল ছিল। পাশাপাশি ডাঙ্গাপাড়া এলাকার প্রাথমিক স্কুল ময়দানে তৃণমূলের নির্বাচনি জনসভাও ছিল। এদিন কলাবাড়ি বাজার থেকে সিপিএমের মিছিল শুরু হয়ে যখন ডাঙ্গাপাড়া এলাকায় পৌঁছোয় তখন তৃণমূলের বেশকিছু কর্মী সিপিএমের মিছিলের উপরে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। ডাঙ্গাপাড়ায় তৃণমূল এবং সিপিএম দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয় পাথর ও ইট ছোড়াছুড়ি। ঘটনায় উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়। তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় মাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে।
এলাকার সিপিআইএমের পঞ্চায়েত প্রার্থী জিতেন রায় বলেন, ‘এদিন আমরা শান্তিপূর্ণভাবেই মিছিল করছিলাম। ডাঙ্গাপাড়া এলাকায় মিছিল পৌঁছোলে তৃণমূলের কর্মীরা আমাদের মিছিলের উপর পাথর ইট ছুড়তে থাকে। ঘটনায় মোট ৮-১০ জন কর্মী আমাদের আহত হয়েছে। পরে পুলিশ আসলেও তাদেরকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল কর্মীরা। তৃণমূলের এই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে মানুষ ভোট বাক্সে জবাব দেবে।‘
যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে এলাকার তৃণমূলের বুথ সভাপতি নুর ইসলাম। তিনি বলেন, ‘এদিন আমাদের ডাঙ্গাপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ময়দানে নির্বাচনি জনসভা ছিল। আমরা আগেই সিপিএম নেতৃত্বকে বলেছিলাম ওই এলাকায় কোনও মিছিল না করার জন্য। কিন্তু তারা তা শোনেনি। তাঁরা মিছিল নিয়ে এসে জনসভায় থাকা আমাদের কর্মীদের উপরে লাঠি, পাথর নিয়ে আক্রমণ করে। আমাদের মোট ১২-১৩ জন কর্মী আহত হয়েছে।‘ এদিন ঘটনার পর এলাকায় পৌঁছোয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। কেন্দ্রীয় বাহিনী গিয়ে সমগ্র এলাকায় রুট মার্চ করতে থাকে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। তৃণমূলের মেটেলি ব্লক সভাপতি জোসেফ মুন্ডা বলেন, ‘বিষয়টি শোনার পরেই আমি পুলিশকে জানাই। কী ঘটনা ঘটেছে তা তদন্ত করার পরেই বলা যাবে।‘